গত ১০ মার্চ ১২ বছরের ছাত্রটির উপর নারকীয় অত্যাচার করা হয়। প্রথমে ছাত্রটির হাত ও পা একটি পাইপের সঙ্গে বেঁধে দেওয়া হয়। তারপর ছাত্রটিকে ব্যাট ও উইকেট দিয়ে মারা হয়। এরপর অভিযুক্তরা তাঁকে উলঙ্গ করে ঠাণ্ডা জলের মধ্যে চুবিয়ে রাখে। ছাত্রটিকে চিপস ও বিস্কুট খেতে দেওয়া হয়। এমনকি শৌচালয় থেকে জল এনে ছাত্রটিকে খাওয়ানো হয়। 'বাঁচাও বাঁচাও' চিত্কার করলেও সাহায্যের জন্য কোনও ছাত্র বা শিক্ষক ছুটে আসেনি। জানা গেছে হোস্টেলটিতে প্রায় ২০০ ছাত্র থাকে। এই ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পরেই নাবালক ছাত্রটি মারা যায়। ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর পুলিশ তদন্তে নামে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে দুই অভিযুক্ত ছাত্র শুভঙ্কর (১৯) ও লক্ষ্মণকে (১৯)। এছাড়া তিন হোস্টেল কর্মীকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ২২ মার্চ ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পরেই অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিস্কুটের প্যাকেট চুরির অপরাধে এই শাস্তি দেয় ছাত্রটিকে অভিযুক্তরা।
advertisement