আইলাইনার দেওয়া যে নোটটি উদ্ধার করা হয়েছে, সেটি ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে৷ পাঠানো হবে হ্যান্ড রাইটিং বিশেষজ্ঞের কাছে৷ পুলিশ সূত্রের খবর, সূচনা শেঠের সাইকোলজিক্যাল পরীক্ষাও করানো হবে এর মধ্যে৷
দিন কয়েক ধরেই গোটা দেশে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে দিয়েছে গোয়ার হত্যাকাণ্ড। নিজের চার বছরের শিশুসন্তানকে খুনের অভিযোগ উঠেছে এক স্টার্ট-আপ সংস্থার সিইও সূচনা শেঠের বিরুদ্ধে। এই ঘটনার নৃশংসতায় রীতিমতো শিউরে উঠেছে গোটা দেশের মানুষ।
advertisement
আরও পড়ুন: জমে বরফ দিল্লি…কনকনে ঠান্ডায় জবুথবু! কলকাতারও দিন আসছে..এবার এল শীতের বড় আপডেট
অভিযোগ, গোয়ার সার্ভিস অ্যাপার্টমেন্টে চার বছরের সন্তানকে শ্বাসরোধ করে খুন করেন ৩৯ বছর বয়সি সূচনা। গত ৮ জানুয়ারি, ২০২৩ তারিখে সন্তানের দেহ স্যুটকেসে ভরে গোয়া থেকে পালানোর পথেই গ্রেফতার হয়েছেন তিনি। কিন্তু সূচনার বিরুদ্ধে ওঠা এহেন অভিযোগ যেন কিছুতেই বিশ্বাস করতে পারছেন না তাঁর পড়শিরা।
আসলে তদন্তকারীদের ভাবাচ্ছে সূচনা শেঠের ইনস্টাগ্রাম পোস্ট। গত ১২ অক্টোবর, ২০২৩ তারিখে ইনস্টাগ্রামে শেষ পোস্ট করেছিলেন ওই মহিলা। সেই ছবিতে অ্যাকোয়ারিয়ামের সামনে বসা এক শিশুকে দেখা গিয়েছে। সেই ছবির ক্যাপশনে হ্যাশট্যাগ হোয়াটউইলহ্যাপেন লেখা। বলাই বাহুল্য, বর্তমানে সকলের নজর সূচনার এই পোস্টের উপর।
ওই পোস্টের কমেন্ট বক্সে উপচে পড়েছে নেটিজেনদের প্রতিক্রিয়ায়। অনেকেই মনে করছেন যে, ছবির শিশুটি আদতে সূচনার ছেলেই। যদিও সেটা উল্লেখ করেননি পোস্টদাতা। দুই ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারী নিজেদের সূচনার পড়শি বলে দাবি করেছেন। তাঁর সম্পূর্ণ অন্যরকম কথা বলছেন। পড়শি বলে দাবি করা দুই নেটিজেন জানান যে, সূচনাকে ‘স্নেহশীল মা’ বলেই মনে হত। তাঁদের দাবি, শিশুটির শ্বাসজনিত সমস্যা ছিল। আর তা নিয়ে সূচনা যথেষ্ট উদ্বিগ্ন থাকতেন।
আরও পড়ুন:কালীঘাটের মন্দিরে তৈরি হচ্ছে নতুন সোনার চূড়া! মোট কত খরচ হচ্ছে জানেন…ঘোষণা করলেন মমতা
অন্য এক ব্যবহারকারীর আবার দাবি, তিনি ৬ মাস ধরে সূচনার পড়শি। তাঁর মনে হয়েছে যে, “সূচনা তো নিজের ছেলেকে চড়ও মারতে পারবেন না।” তিনি আরও বলেন যে, “সূচনার নিজের সন্তানকে হত্যা যেন অকল্পনীয়!” ওই ব্যবহারকারীর দাবি, “তাঁরা দুটজনেই বাঙালি। ফলে একে অপরের সঙ্গে খাবার ভাগ করে খেতেন। এমনকী বই পড়তে ভালবাসতেন সূচনা। তাঁর নিজস্ব একটি লাইব্রেরিও রয়েছে।” সূচনার শেষ পোস্টের অন্যান্য হ্যাশট্যাগের মধ্যে অন্যতম হল ফাইন্ডিংল্যুজিং, লাইফইজবিউটিফুল, হলিডে, ম্যাজিকঅফচাইল্ডহুড।
প্রসঙ্গত কয়েক মাস আগে পর্যন্ত বেঙ্গালুরুর রচনাহল্লি রোডের একটি রেসিডেন্সিয়াল কমপ্লেক্সে সন্তানকে নিয়ে থাকতেন ওই সিঙ্গেল মা। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে সূচনার পড়শিদের কথা তুলে ধরা হয়েছে। তাঁদের দাবি, সূচনা শান্তশিষ্টই ছিলেন। তাঁর পুত্র কুকুরদের সঙ্গে খেলতে ভালবাসত।
পুলিশ সূত্রে খবর, শিশুটির দেহ যে স্যুটকেসে মিলেছে, সেখানে আইলাইনার দিয়ে লেখা একটা চিঠিও উদ্ধার হয়েছে। আর ওই চিঠিতে কাস্টোডির লড়াইয়ের কথা ফুটে উঠেছে।