গত মাসে, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে দিল্লি সরকার কিছু বিশেষ নিয়মবিধি তৈরি করার পরিকল্পনা করছে। তবে রাজধানীতে কোভিড কেসের সংখ্যা ইতিমধ্যেই ৭-৮০০০ থেকে ৫০০০-এ নেমে এসেছে। পজিটিভ কেসের পরিমাণও ডিসেম্বর ১-এর হিসেব অনুযায়ী ৬.৮ শতাংশে নেমে এসেছে, যেখানে এই নভেম্বর ৮-এ এই পরিমাণ ছিল ১৫.২।
দিল্লি হাইকোর্ট বেঞ্চের তরফ থেকে আপ সরকারের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, বিয়ের মরশুমে করোনার প্রভাব রুখতে কি ধরনের প্রটোকল মেনে চলা হচ্ছে। এই ঘটনার পর কেজরিওয়ালরা কি সিদ্ধান্ত নেবেন তা নিয়ে জল্পনা ছিল তুঙ্গে। নভেম্বরে দিল্লির করোনা সংক্রমণের জোয়ার কর্তাব্যক্তিদের ভাবিয়ে তুলেছিল।বিশেষজ্ঞরা নতুন করে সংক্রমণের পূর্বাভাস দিয়েছিলেন। এমতাবস্থায় দিল্লি সরকার বেশ কিছু সচেতনতামূলক নিয়মবিধি তৈরি করে।সাধারণ মানুষকে মাস্ক পরতে বাধ্য করার জন্য নির্দেশিকা জারি করা হয়, মাস্ক না পরলেই ২০০০ টাকা জরিমানা। এছাড়াও বিয়ে বাড়িতে নিমন্ত্রিতের সংখ্যা ৫০-এ বেঁধে দেওয়া হয়।
advertisement
অন্যদিকে মহারাষ্ট্র সরকার মুম্বই-এর সমস্ত স্কুলগুলিকে আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে। রাজস্থান সরকারও ১৪৪ ধারা জারি করেছে করোনা সংক্রমণ রোখার জন্য। নাইট কারফিউ জারি করল কোন কোন রাজ্য? ডিসেম্বর এবং জানুয়ারিতে ১০০০-এরও বেশি বিয়ের অনুষ্ঠানের কথা মাথায় রেখে, পঞ্জাব সরকার রাজ্যের সমস্ত শহরে নাইট কারফিউ’র নির্দেশ দিয়েছে।
গুজরাত সরকার রাজকোট, সুরাট এবং ভাদোদরা’র মতো শহরে রাত ৯টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত কারফিউ’র নোটিশ দিয়েছে। একইভাবে, মধ্যপ্রদেশ সরকারও রাত ১০টা থেকে নাইট কারফিউ জারি করেছে ইন্দোর ও ভোপালের মতো ৫টি জেলায়। মণিপুর রাজ্যেও আগাম সতর্কতা হিসেবে জারি হয়েছে সন্ধ্যে ৬টা ঠেকে ভোর ৪টে পর্যন্ত নাইট কারফিউ।
ANTARA DEY