অভিযোগ, সংসদের বুলেটিনে কি নিয়ে আলোচনা হবে তা এখনও স্পষ্ট করেনি সরকার। কোন কোন ইস্যু তোলা হবে তা চূড়ান্ত হবে ইন্ডিয়া জোটের সংসদীয় দলের নেতাদের বৈঠকে। সূত্রের খবর, আজ রাত ৮ টা থেকে সাড়ে ৯ টা পর্যন্ত ইন্ডিয়া জোটের বৈঠক হয়। তবে এই বৈঠকে দেশের নাম বদল নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি বলে সূত্র মারফত জানা গিয়েছে। ইন্ডিয়া জোটের তরফে ৫ দিনের বিশেষ অধিবেশনে জাতীয় ইস্যু গুলিকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে।
advertisement
তারমধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো লঙ্ঘন করার অভিযোগ। এরমধ্যেই রাজ্যের ইস্যুগুলো তুলে ধরা হবে। এর মধ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি দিতে চলেছেন কংগ্রেসের সংসদীয় কমিটির চেয়ারপার্সন সনিয়া গান্ধি। সেখানে বিষয়টির উল্লেখ থাকবে বলে জানা গিয়েছে। তৃণমূলের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও ব্রায়েন বলেন, “কেন বিশেষ অধিবেশনের অ্যাজেন্ডা জানানো হয়নি, কেন অ্যাজেন্ডা গোপন রাখা হয়েছে? এটা সংসদীয় গণতন্ত্রের পরিপন্থী।” ইন্ডিয়া জোটের আশঙ্কা, ৫ দিনের বিশেষ অধিবেশনেও হট্টগোল করার চেষ্টা করবে বিজেপি।
২০ অধিবেশনের রাষ্ট্রপতি ভবনের পক্ষ থেকে পাঠানো আমন্ত্রণ পত্রে ইন্ডিয়ার’ জায়গায় ভারত লেখা নিয়ে কটাক্ষ করেছেন বিরোধীরা৷ ‘ইউনিয়ন অফ স্টেটস্’ অফ সাংবিধানিক যুক্তরাজ্যকে আঘাত করা হয়েছে৷ কংগ্রেসের দাবি, ওই আমন্ত্রণ পত্রে ‘প্রেসিডেন্ট অফ ইন্ডিয়ার’ জায়গায়, ‘প্রেসিডেন্ট অফ ভারত’ লেখা হয়েছে। প্রসঙ্গত, গত বছরই গুজরাতের এমপি বিজেপি নেতা মিতেশ প্যাটেল লোকসভাতেও ইন্ডিয়ার নাম বদলে ‘‘ভারত’’ বা ‘‘ভারতবর্ষ’’ করার প্রস্তাব তুলেছিলেন৷ বিজেপি নেতার দাবি, “ইন্ডিয়া নামটি ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির দেওয়া৷ এটি আমাদের দেশের সেই দাসত্বের সময়কালকে মনে করায়৷”
এই বিষয় নিয়েই বিজেপিকে তুমুল আক্রমণ করেছেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ। X-এ (পূর্বনাম ট্যুইটার) কটাক্ষ করে রমেশ লিখেছেন,‘‘ তাহলে যা শুনেছিলাম সেটাই সত্যি৷ রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে পাঠানো ৯ সেপ্টেম্বর G-20-এর নৈশভোজে ‘প্রেসিডেন্ট অফ ইন্ডিয়ার’ জায়গায় ‘প্রেসিডেন্ট অফ ভারত’ লেখা হয়েছে৷’’ বিজেপিকে আক্রমণ করে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদকের আরও প্রশ্ন, ‘‘তাহলে এবার সংবিধান আর্টিকেল ১ এ লেখা হবে ভারত, যা আগে ছিল ইন্ডিয়া’’৷
RAJIB CHAKRABORTY