অভিযুক্ত ছাত্রের নাম উৎকর্ষ ঢাখলে। অভিযোগ, ২৬ ডিসেম্বর, গত বছর নাগপুরের কপিল নগর এলাকায় তাদের বাড়িতে এই নৃশংস ঘটনাটি ঘটে। প্রতিবেশীরা দুর্গন্ধ পেয়ে ঘটনাটি বুধবার সকালে প্রকাশ্যে নিয়ে আসে।
আরও পড়ুন: হাড়হিম করা ঘটনা! প্রতিবেশীকে খুন করে মাথা নিয়ে থানায় আত্মসমর্পণ বাপ-ছেলের, জানুন…
পুলিশ মৃতদেহগুলির পচনশীল অবস্থায় উদ্ধার করার পর উৎকর্ষকে গ্রেপ্তার করে। পরে সে হত্যার কথা স্বীকার করে, বলে জানিয়েছেন ডিসিপি নিকেতন কদম। এক পুলিশ কর্তা জানিয়েছেন, “উৎকর্ষ ২৬ ডিসেম্বর দুপুরে তার মা অরুণা, যিনি একজন শিক্ষক, তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে সন্ধ্যা ৫টার দিকে তার বাবা লীলাধর, যিনি একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রে টেকনিশিয়ান এবং একজন সমাজকর্মী ছিলেন, বাড়ি ফেরার পর তাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে। এরপর সে মৃতদেহগুলি ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।”
advertisement
কিন্তু কোন কারণে এমন চরম সিদ্ধান্ত? পুলিশ জানিয়েছে, এই হত্যাকাণ্ডের মূল কারণ ছিল অভিযুক্তের পড়াশোনায় ব্যর্থতা। পুলিশ বলেছে, “উৎকর্ষ ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সের বিভিন্ন বিষয় পাস করতে ব্যর্থ হয়েছিল। তার মা-বাবা তাকে ইঞ্জিনিয়ারিং ছেড়ে অন্য কিছু করার পরামর্শ দেন। তবে সে এই প্রস্তাবে তীব্র আপত্তি জানায়। রাগের মাথায় তারপরই সে চরম সিদ্ধান্ত নেয়৷”
আরও পড়ুন: ভয়ঙ্কর ঘটনা! দিনের পর দিন ঝামেলা, স্ত্রীকে ছাদ থেকে ঠেলে দিল স্বামী…
হত্যার পর ওই অভিযুক্ত ছেলেটি যা করেছে, সেটা আরও ভয়ঙ্কর৷ মা-বাবাকে হত্যার পর সে তার বোনকে, যে একজন কলেজ পড়ুয়া এবং হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে কিছুই জানত না, কাকার বাড়িতে নিয়ে যায়। সে আত্মীয়দের বলে যে তার মা-বাবা ধ্যান শিবিরে যোগ দিতে বেঙ্গালুরু গিয়েছেন। সে নিজেও কাকার বাড়িতে বোনের সঙ্গে থাকছিল, বলে জানিয়েছেন এক পুলিশ কর্তা।