একুশের ভোটে বাংলায় বিজেপির হার জাতীয় রাজনৈতিক মহলে শোরগোল ফেলে দিয়েছিল। পিকের সমীকরণের সাফল্যে বিজেপি যেভাবে পর্যদুস্ত হয়েছে তাতে অন্যরাজ্যের অবিজেপি দলগুলো শক্তি পেয়েছিল। তারপরেই ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে দুই দফায় বৈঠক করেন এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ার। চব্বিশের লোকসভা ভোটে প্রশান্ত কিশোর তৃণমূলের সঙ্গে কাজ করবে। তার মধ্যে আবার এনসিপি সুপ্রিমোর সঙ্গে বৈঠক নতুন করে জল্পনা বাড়িয়েছিল তৃতীয় ফ্রন্টের।
advertisement
এদিনের বৈঠকে ১৫টি অবিজেপি রাজনৈতিক দলকে বৈঠকে আমন্ত্রণ জানান শরদ পাওয়ার। বিকেলে দিল্লিতে শরদের বাসভবনে বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। সেই আমন্ত্রণ পত্র আরজেডি, ন্যাশনাল কনফারেন্স, পিডিপি, তৃণমূল কংগ্রেস, কংগ্রেস, আপ সকলকেই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। কংগ্রেস নেতা কপিল সিবলকে আলাদা করে আমন্ত্রণ পাঠান শরদ পাওয়ার।
তবে ১৫টি রাজনৈতিক দল বৈঠকে সামিল না হলেও ৮টি রাজনৈিতক দল শরদ পাওয়ারের বাসভবনে বৈঠক করে। তারমধ্যে তৃণমূল কংগ্রেস, আপ এবং বামেরাও উপস্থিত ছিল। তৃণমূলের পক্ষ থেকে ছিলেন যশবন্ত সিনহা। তিনি জানিয়েছেন সাম্প্রতিক ইস্যু গুলি নিয়েই আলোচনা হয়েছে বৈঠকে। দাবি করা হয়েছে যশবন্ত সিনহাই বৈঠক ডেকেছিলেন। এটা একেবারেই কোনও রাজনৈতিক বৈঠক ছিল না বলে দাবি করেছেন শরদ পাওয়ার।
শরদ পাওয়ারের আমন্ত্রণ নিয়ে একটু বেঁকেই বসেছিলেন লোকসভায় কংগ্রেসের নেতা অধীর চৌধুরী। তিনি প্রকাশ্যেই অভিযোগ করেছেন প্রশান্ত কিশোর আমাদের ভাগ্য নির্ধারণ করতে পারেন না। কংগ্রেস নেতার এই মন্তব্যের পরেই জল্পনা শুরু হয়েছিল। সেই বৈঠকে দেখা যায়নি কংগ্রেসের কোনও প্রতিনিধিকে। তবে ন্যাশনাল কনফারেন্স এবং পিডিপির প্রতিনিধি সেখানে ছিলেন।