মঙ্গলবার সরকারি ছুটি ঘোষণা করেছে তামিলনাড়ু সরকার ৷ একইসঙ্গে কেন্দ্রও সারাদেশে একদিনের জাতীয় শোক ঘোষণা করেছেন ৷ জনপ্রিয় নেত্রী জয়ললিতার প্রয়াণে সমস্ত সরকারী ভবনে অর্ধনমিত থাকবে জাতীয় পতাকা ৷
২২ সেপ্টেম্বর চেন্নাইয়ের হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। এতদিন ধরে যে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই চলছিল তাঁর, তাতে হার মানলেন জয়া আম্মা। সোমবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ প্রয়াত হলেন জয়ললিতা। সোয়া বারোটায় তার মৃত্যু সংবাদ জানানো হয়।
advertisement
রবিবার বিকেলে জয়ললিতা হঠাতই হৃদরোগে আক্রান্ত হন। হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয় তার অবস্থা অত্যন্ত সংকটজনক। তাঁকে লাইফ সাপোর্ট রাখা হয়েছে। বিশেষ লাইফ সাপোর্ট সিস্টেমে রাখার পরেও খুব একটা ফল হয়নি। তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রীর বেশিরভাগ অঙ্গপ্রত্যঙ্গই চিকিৎসায় সাড়া দেয়নি। সোমবার বিকেলে তাঁর চিকিৎসা করতে আসা লন্ডনের বিশিষ্ট চিকিৎসক রিচার্ড বিয়েলও জানিয়ে দেন, তাঁর অবস্থা অত্যন্ত সংকটজনক।
সোমবার দুদফায় লন্ডন ও গ্লাসগোয় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের কাছে পাঠানো হয় জয়ললিতার মেডিক্যাল রিপোর্ট। তাদের সম্মতি মেলার পর রাতে আরও একদফা স্বাস্থ্য পরীক্ষা। অ্যাপোলো সূত্রে খবর, আম্মার অবস্থা একইরকম। আম্মাকে দেখতে রাতেই দলের সদর দফতরে পৌঁছন অন্তবর্তী মুখ্যমন্ত্রী পনিরসেলভান। শুরু হয় কোর কমিটির বৈঠক। এর আগে জয়ললিতার উত্তরসূচি নির্বাচন নিয়ে বৈঠকেও বসে তামিলনাড়ু মন্ত্রিসভা।
জয়ললিতার শারীরিক অবস্থার কথা জানার পরেই হাসপাতাল চত্বরে ভিড় করেছিলেন এআইডিএমকে সমর্থকরা। সোমবার রাতেও অসুস্থ আম্মার জন্য প্রার্থনায় হাসপাতালের সামনে লম্বা লাইন।
বিকেল ৪.৩০
সন্ধ্যাতেই কিছু সংবাদমাধ্যমে জয়ললিতার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই হাসপাতাল চত্বরে সংঘর্ষ বেধে যায়। ১৫ মিনিটের মধ্যে কার্যত স্তব্ধ চেন্নাই। এআইএডিএমকের সদর দপ্তরে নামিয়ে আনা হয় দলের পতাকা। এআইএডিএমকের নিজস্ব চ্যানেল ছাড়াও তিনটি লোকাল চ্যানেলের খবরে তখন বিভ্রান্ত জাতীয় সংবাদমাধ্যমও। পরে অবশ্য অ্যাপোলোর তরফে এক বিবৃতি জারি করে জানানো হয় যে মৃত্যুর খবর ছিল একেবারে ভুয়ো ৷
তবুও শেষরক্ষা হল না ৷ গুজব সত্যি করে অগণিত AIADMK সমর্থকের প্রার্থনা ব্যর্থ করে চলে গেলেন আম্মা জয়ললিতা ৷