তবে স্কুলের শিক্ষকদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রীর রমেশ পোখরিয়ালের বৈঠকে উঠে আসা মন্তব্যে জল্পনা তুঙ্গে । বৃহস্পতিবার স্কুলের শিক্ষকরা স্কুল খোলার বিষয়ে প্রশ্ন করেন মন্ত্রীকে । সেই প্রশ্নের উত্তর দিতেই স্কুলে একদিনে একসঙ্গে ৩০ শতাংশ পড়ুয়াদের নিয়ে ক্লাস হতে পারে এমন সম্ভাবনার কথা জানান মন্ত্রী । কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, "এনসিইআরটি কিভাবে স্কুল চালু করা হবে তার জন্য একটি গাইডলাইন তৈরি করছে । ইতিমধ্যেই কয়েক দফা প্রস্তাব এসেছে । সেই প্রস্তাবগুলি নিয়েও আলোচনা চলছে ।"
advertisement
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ এবং তার জেরে চলা লকডাউনের জেরে মার্চ মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকেই দেশজুড়ে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ । তবে লকডাউন ওঠার পর কীভাবে স্কুলগুলি চালু করা হবে তা নিয়ে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের পরামর্শে ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর এডুকেশন রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিংয়ের আধিকারিকরা একটি গাইডলাইন তৈরি করছে। জানা গিয়েছে, একাধিক সুপারিশ দেওয়া হতে পারে সেখানে, যার মধ্যে রয়েছে স্কুল চালু হলেও আপাতত কোনও প্রার্থনাসভা করা যাবে না । স্কুলে কোনও সেমিনার বা একসঙ্গে জমায়েত হতে পারে এমন অনুষ্ঠান করা যাবে না দীর্ঘ সময়ের জন্য । পাশাপাশি প্রস্তাবে রাখা হয়েছে সোশ্যাল ডিসটেন্স মেনে চলার জন্য একসঙ্গে স্কুলগুলিতে মাত্র ৩০% করে ক্লাস করানো হবে । বৃহস্পতিবার শিক্ষকদের সঙ্গে হবা ভিডিও কনফারেন্স কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী বলেন, "আমরা এনসিইআরটি-কে গাইডলাইন তৈরি করতে বলেছি । গাইডলাইন প্রস্তুতি ইতিমধ্যে চূড়ান্ত জায়গায় পৌঁছেছে । একসঙ্গে যদি ৩০% করে করে ক্লাস করানো হয় তাহলে আমরা দেখতে চাই কিভাবে তা কাজ করছে ।"
এনসিইআরটি সূত্রে খবর, সে ক্ষেত্রে পড়ুয়াদের উপস্থিতির জন্য দুটি পদ্ধতি ভাবা হয়েছে । কিছু পড়ুয়াকে প্রথম দিন আবার কিছু পড়ুয়াকে তার পরের দিন স্কুলে ডাকা হবে । যদি এই পদ্ধতি অনুসরণ করা না যায় তাহলে শিফট-এর ভিত্তিতে পড়ুয়াদের স্কুলে ডাকা হবে । কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রীর মন্তব্য সম্পর্কে সেন্ট্রাল মডার্ন স্কুলের প্রিন্সিপাল নবারুণ দে বলেন, "যদি এই ধরনের উদ্যোগ কেন্দ্রের তরফে নেওয়া হয় তবে অবশ্যই সেটা ভাল উদ্যোগ । কিন্তু শিফট ভিত্তিক পড়ুয়াদের ক্লাস করানো কতটা বাস্তবায়িত করা সম্ভব হবে তা ভেবে দেখা উচিত । তবে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত সিলেবাস শেষ করাটাও দরকার । সেটাও মাথায় রেখেই ক্লাস করানোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত বলেই আমাদের মনে হয় ।"
যদিও এ রাজ্যের তরফে ভাবনা চিন্তা রয়েছে স্কুল চালুর ব্যাপারে প্রয়োজনীয় মতামত নেওয়া বিভিন্ন স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের থেকে । সেই প্রক্রিয়াও খুব তাড়াতাড়ি শুরু হতে পারে বলে জানা গেছে স্কুল শিক্ষা দফতর সূত্রে। পূর্ব ঘোষণা মত রাজ্যে ১০ই জুন পর্যন্ত স্কুল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকছে ।
SOMRAJ BANDOPADHYAY