এদিন দুপক্ষের বক্তব্য শুনে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে কমিশন ৷ সাইকেলে নিজের অধিকার নিশ্চিত করতে চারজন দুঁদে উকিল নিয়ে কমিশনে পৌঁছেছেন সভাপতি মুলায়ম ৷ তাঁর সঙ্গে রয়েছেন রাম গোপাল ৷ অখিলেশের হয়ে কমিশনে প্রতিনিধিত্ব করছেন রাম গোপাল ৷ অখিলেশের হয়ে সাইকেল প্রতীকের জন্য লড়াই করছেন আইনজীবী কপিল সিব্বল ৷
তিনিই দলের জাতীয় সভাপতি। তাই দলের প্রতীক 'সাইকেল'-এর অধিকারও তাঁর। এর আগে নির্বাচন কমিশনে গিয়ে এই দাবিই করেন মুলায়ম সিং যাদব। একইসঙ্গে ছেলে অখিলেশের জমা দেওয়া হলফনামা জাল বলেও অভিযোগ জানান তিনি।
advertisement
মুখে সন্ধির কথা বলছেন বটে। কিন্তু সাইকেলের দাবি ছাড়তে নারাজ নেতাজি। সিকি শতক আগে নিজের হাতে গড়া দলের রাশ হাতে রাখতে, এবার নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হলেন মুলায়মি সিং যাদব। সোমবার দুপুরে তুতো ভাই শিবপাল এবং অমর সিংকে সঙ্গে নিয়ে দিল্লিতে নির্বাচন সদনে যান মুলায়ম। মিনিট চল্লিশ কথা বলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার নাসিম জাইদির সঙ্গে। সূত্রের খবর,
- নির্বাচন কমিশনে নিজেকে সমাজবাদী পার্টির জাতীয় সভাপতি বলে দাবি করেন মুলায়ম
- দলের নির্বাচনী প্রতীক 'সাইকেল'-এর ওপর একমাত্র অধিকার তাঁর বলেও দাবি করেন
- শনিবারই কমিশনে দলীয় জনপ্রতিনিধিদের সই করা সমর্থনপত্র জমা দিয়েছিল অখিলেশ শিবির
- সেই হলফনামা জাল বলেও দাবি মুলায়মের
- ১ জানুয়ারি দলের জরুরি জাতীয় অধিবেশন ডাকেন মুলায়মের আরেক তুতো-ভাই রামগোপাল যাদব
- সেই বৈঠকে মুলায়মকে সরিয়ে সপার শীর্ষপদে বসানো হয় অখিলেশকে
- কমিশনে মুলায়ম জানান, ৩০ ডিসেম্বরই সপা থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল রামগোপালকে
- তাই পয়লা জানুয়ারির জাতীয় অধিবেশন এবং সেখানে নেওয়া সব সিদ্ধান্তই অবৈধ
যদিও কমিশনের দফতর থেকে বেরিয়ে মুলায়ম বলেন, ছেলের সঙ্গে তাঁর কোনও দ্বন্দ্ব নেই। সমস্যার মূলে একজন ব্যক্তি। নাম না করলেও, আক্রমণের তির যে রামগোপালের দিকেই ছিল, তা স্পষ্ট।
১১ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে উত্তরপ্রদেশের সাত দফার নির্বাচনী লড়াই। সাইকেলের ভবিষ্যৎ আপাতত নির্বাচন কমিশনের হাতে। চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত পেশ হতে পারে আজই ৷
তবে সাইকেল প্রতীক না পেলে অখিলেশ প্ল্যান বি হিসেবে মোটর সাইকেলের প্রতীক বাছাই করে রেখেছেন ৷