অর্ন্তদৃষ্টিমূলক বিশ্লেষণ, চিন্তা চেতনায় জোয়ার আনার মতো সক্ষম প্যানেল এবং দূরদৃষ্টিমূলক বক্তব্যের মাধ্যমে ‘রাইজিং ভারত’-এর লক্ষ্য হল, সারা বিশ্বে ভারতের প্রভাবের বহুমুখী মাত্রা এবং তার মন্ত্র ‘লিডিং ফর গ্লোবাল গুড’-এর মধ্য দিয়ে সকলের জন্য ন্যয়সঙ্গত এবং সুন্দর ভবিষ্যতের সন্ধান করা। অনুষ্ঠানের মূল বক্তব্য পেশ করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
advertisement
অন্য দিকে, ভারত সরকারের পাবলিক পলিসি থিঙ্ক ট্যাঙ্ক, নীতি আয়োগের দ্বিতীয় প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে অমিতাভ কান্তর হাত ধরেই এসেছে একাধিক সংস্কার। নেওয়া হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু উদ্যোগ। অমিতাভ কান্ত ভারত সরকারের পর্যটন বিভাগের যুগ্ম সচিবও ছিলেন। জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) জন্য ভারতের গ্রামীণ পর্যটনের জাতীয় প্রকল্প পরিচালকের দায়িত্বও সামলেছেন।
অমিতাভ কান্ত কেরল ক্যাডারের আইএএস অফিসার ছিলেন। শিল্পনীতি ও প্রচার বিভাগের সচিব হিসেবে কাজ করেছেন। ৬ বছর নীতি আয়োগের সিইও ছিলেন। এছাড়াও, তিনি কোভিড -১৯-এর সময় ক্ষমতাপ্রাপ্ত গ্রুপ ৩-এর অংশ ছিলেন। এক কথায় বলতে গেলে অমিতাভ কান্ত ইন্ডিয়ান অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিসের (IAS) অবসরপ্রাপ্ত সদস্য এবং স্টার্টআপ ইন্ডিয়া, মেক ইন ইন্ডিয়া, ইনক্রেডিবল ইন্ডিয়া, কেরল: গডস ওন কান্ট্রি এবং অ্যাস্পিরেশনাল ডিস্ট্রিক্টস প্রোগ্রামের মতো ফ্ল্যাগশিপ জাতীয় উদ্যোগের প্রধান কারিগর।
জি২০-র শীর্ষ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শেরপার ভূমিকা নিয়েছিলেন অমিতাভ কান্ত। রাজনীতি ও কূটনীতি, উভয় ক্ষেত্রেই তিনি সব্যসাচী। তাই বহুপাক্ষিক ফোরামে দেশের প্রতিনিধিত্ব করার দায়িত্ব বর্তে ছিল তাঁর কাঁধেই। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে তিনিই উচ্চাভিলাষী, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং গ্লোবাল সাউথের স্বার্থের প্রতিনিধিত্ব করেছেন।
আরও পড়ুনঃ আর অল্পদিনের অপেক্ষা! ডিমাপুর থেকে কোহিমা ছুটবে দ্রুত ট্রেন!
অমিতাভ কান্ত একজন বিশিষ্ট লেখকও। তাঁর উল্লেখযোগ্য বইগুলির মধ্যে রয়েছে “ব্র্যান্ডিং ইন্ডিয়া-অ্যান ইনক্রেডিবল স্টোরি”, “ইনক্রেডিবল ইন্ডিয়া ২.০”এবং “মেড ইন ইন্ডিয়া: ৭৫ ইয়ার অফ বিজনেস অ্যান্ড এন্টারপ্রাইজ”। অমিত কাপুরের “দ্য এলিফ্যান্ট মুভস: ইন্ডিয়াস নিউ প্লেস ইন দ্য ওয়ার্ল্ড”-এর সহ-লেখকও তিনি।