এ দিন দিল্লিতে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের বৈঠকেই রেভান্থ রেড্ডিকে মুখ্যমন্ত্রী করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়৷ ওই বৈঠকে রাহুল গান্ধি ছাড়াও দলের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে, জাতীয় সাধারণ সম্পাদক কে সি বেণুগোপালরা উপস্থিত ছিলেন৷ তবে সরকারি ভাবে সিদ্ধান্ত ঘোষণার আগে হায়দ্রাবাদে কংগ্রেসের নবনির্বাচিত বিধায়কদের নিয়ে বৈঠকে রেভান্থ রেড্ডিকে নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বেছে নেওয়া হবে৷
advertisement
আরও পড়ুন: একা মমতা নন, যাচ্ছেন না অনেক দলের নেতা! বাধ্য হয়েই কি ‘ইন্ডিয়া’র বৈঠক বাতিল করল কংগ্রেস?
তবে ৫৪ বছরের রেভান্থ রেড্ডিকে মুখ্যমন্ত্রী পদে বসানো নিয়ে কংগ্রেসের অন্দরেই জোরাল বিরোধিতার আবহ তৈরি হয়েছিল৷ গতকালই নতুন মুখ্যমন্ত্রীর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল৷ কিন্তু তেলঙ্গনায় দলের এতাধিক প্রবীণ নেতা রেড্ডিকে মুখ্যমন্ত্রী পদে মেনে নিতে চাননি৷ সেই কারণেই ফের হস্তক্ষেপ করতে হয় কংগ্রেস হাইকম্যান্ডকে৷ শেষ পর্যন্ত অবশ্য তুলনামূলক ভাবে তরুণ এই নেতাকেই বেছে নিলেন রাহুল গান্ধিরা৷ প্রচার পর্বেও রেভান্থ রেড্ডিকে সামনে রেখেই তেলেঙ্গানায় প্রচার করেছিল কংগ্রেস৷
রেড্ডির বিরোধীরা তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতি অভিযোগগুলিকে হাতিয়ার করে তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী পদে বসানোর বিরোধিতা করেন বলে কংগ্রেস সূত্রে খবর৷ রেভান্থ রেড্ডির লোকসভা কেন্দ্রেও কংগ্রেস ভাল ফল করেনি বলে যুক্তি দেখান ওই নেতারা৷ ২০২১ সালে রেড্ডিকে যখন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বাছা হয়. তখনও তীব্র বিরোধিতা করেছিলেন প্রদেশ কংগ্রেসের একাংশ৷ অভিযোগ উঠেছিল, কোটি কোটি টাকার বিনিময়ে তেলেঙ্গানায় কংগ্রেসের শীর্ষ পদ পেয়েছেন রেভান্থ রেড্ডি৷
তবে রেড্ডি যখন তেলঙ্গনায় কংগ্রেসের দায়িত্ব নেন, তখন দক্ষিণের রাজ্যটিতে শাসক দল বিআরএস-কে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়ার মতো জায়গাতেও ছিল না কংগ্রেস৷ দায়িত্ব নিয়েই রাস্তায় নেমে সামনে থেকে মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করেন রেভান্থ৷ ধীরে ধীরে তেলঙ্গানায় পায়ের তলার মাটি শক্ত করে কংগ্রেস৷ যার সুফল মিলল বিধানসভা নির্বাচনে৷ ফলে মুখ্যমন্ত্রী পদে রেভান্থ রেড্ডি ছাড়া অন্য কাউকে বেছে নেওয়া সম্ভব ছিস না কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্বের পক্ষে৷ তার উপরে কংগ্রেসের ৬৪ জন বিধায়কের মধ্যে ৪২ জনেরই সমর্থন রেভান্থ রেড্ডির দিকে ছিল বলেও সূত্রের খবর৷