হরদীপ পুরী বলছেন, "পরেরবার প্রজাতন্ত্র দিবসের প্যারেড হবে সেন্ট্রাল ভিস্তা অ্যাভিনিউতে৷ এটা আধুনিক ভারতের প্রতীক হবে৷ যদিও অনেকে এর এর গুরুত্ব বোঝে না৷ তাঁরা চায় না দেশের আরও অগ্রগতি হোক৷ তাঁরা কো করোনা টিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল৷ কিন্তু আমরা অভূতপূর্ব টিকাকরণ করেছি৷"
এদিনের ভূমিপুজোর সঙ্গেই সেন্ট্রাল ভিস্তা অ্যাভিনিউ পুনসংস্কারের কাজ শুরু হয়ে গেল বলা চলে৷ এই রাস্তা দিল্লির উত্তর ও দক্ষিণ ব্লক থেকে শুরু হয়ে ইন্ডিয়া গেট পর্যন্ত বিস্তৃত৷ এর মধ্যে রাজপথ, বাগান-খাল রয়েছে, দু'দিক দেখা যাবে গাছের সারি৷ বিজয় চক ও ইন্ডিয়া গেট প্লাজা নিয়ে ৩ কিলোমিটারের লম্বা এক রাস্তা৷
advertisement
রাজধানীর অভিজাত লুটিয়েন্সে দিল্লির বুকে রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে ইন্ডিয়া গেট পর্যন্ত ৮৬ একর জমিকে সম্পূর্ণ নতুন রূপে সাজাতে চান মোদি৷ গত ১০ ডিসেম্বর ২০ হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্পের শিলান্যাস করেনও তিনি৷ প্রধানমন্ত্রী যদিও জানিয়েছিলেন যে, শীর্ষ আদালতের থেকে সম্মতি না পাওয়া পর্যন্ত এর নির্মাণকাজ শুরু হবে না।
সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পে মূলত নতুন সংসদ ভবন গড়ে উঠবে৷ আগামী বছর স্বাধীনতা দিবসের মধ্যে নির্মাণ কাজ শেষ করতে চায় সরকার৷ ভাবী সংসদ ভবনে লোকসভা ও রাজ্যসভার চেয়ে হাউসগুলি অনেকটাই বড় হবে৷ জানা যাচ্ছে ৮৮৮ ও ৩৮৪ জনের বসার ক্ষমতা থাকবে দু'টি কক্ষে। লোকসভা হলেও অতিরিক্ত ১,২৭২টি আসন থাকবে সেখানে।
সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্প নিয়ে বিরোধীরা চোখ কপালে তুলেছিল৷ আদালেত আবেদনকারীদের দাবি ছিল যে, মোদির এই প্রকল্পে দিল্লির ৮৬ একর সবুজ ধ্বংস হবে৷ পাশাপাশি দিল্লি উন্নয়ন আইনের বিরুদ্ধে গিয়ে এই প্রকল্পের জমি বদল করা হয়েছে বলেও অভিযোগ ছিল তাঁদের৷
সরকারের পক্ষে যুক্তি ছিল যে বর্তমান সংসদ ভবনের জায়গা অনেকটাই কম৷ এমনকী ভবনটি ভূমিকম্প প্রতিরোধক নয়, অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থাতেও খামতি রয়েছে৷ শীর্ষ আদালত দু'পক্ষের বক্তব্য শুনেই আবেদনকারীদের দাবি খারিজ করে সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পকে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে গত মঙ্গলবার৷
