১৫.০৬৪ কিলোমিটার দৈর্ঘের এই রেলওয়ে লাইনটি (৫.০৫ কিলোমিটার ভারতে এবং ১০.০১৪ কিলোমিটার বাংলাদেশে) নিশ্চিন্তপুরের ইন্টারন্যাশনাল ইমিগ্রেশন স্টেশনের মাধ্যমে বাংলাদেশের আখাউরাকে সংযুক্ত করবে, যা ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে যাত্রী ও পণ্যসামগ্রী বিনিময়ের জন্য একটি ডুয়েল গজ স্টেশন হয়ে উঠবে। এই প্রকল্পটিতে ১টি মেজর ব্রিজ ও ৩টি মাইনোর ব্রিজ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এই প্রকল্পটি সম্পূর্ণ হওয়ার পর ঢাকা হয়ে আগরতলা ও কলকাতার মধ্যে যাতায়াতের প্রায় ৩১ ঘণ্টার দূরত্বকে ১০ ঘণ্টায় কমিয়ে দিবে। এই নতুন রেল প্রকল্পটি ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্ককে শক্তিশালী করবে, যা সীমান্ত অঞ্চলের ক্ষুদ্রমাপের শিল্পের বিকাশে সাহায্য করবে এবং উত্তর পূর্বাঞ্চলের বিশেষত ত্রিপুরার পর্যটন শিল্পের উন্নতি সাধন করবে।
advertisement
এছাড়াও এই রেল পথটি দ্রুতগতিতে পণ্যসামগ্রীর আমদানি ও রপ্তানিতে সাহায্য করার পাশাপাশি স্থানীয় উৎপাদনকারীরা নিজেদের উৎপাদিত সামগ্রী দ্রুতগতিতে দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ লাভ করবেন। প্রকল্পের আওতায় ভারতীয় অংশের কাজ শেষ করার জন্য প্রত্যাশিত ব্যয় ৮৬২.৫৮ কোটি টাকা। এই প্রকল্পটির জন্য অর্থ বরাদ্দ করেছে ডোনার মন্ত্রণালয়। ইতিমধ্যে প্রায় ৭০৮.৭৪ কোটি টাকা প্রদান ও ব্যয় করা হয়েছে এবং বাকি কাজ সম্পন্ন করার জন্য ডোনার মন্ত্রণালয় থেকে অবশিষ্ট পুঁজির বরাদ্দ করার প্রক্রিয়া চলছে। তবে বাকি অংশের কাজ ত্বরান্বিত করতে ভারতীয় রেল তার নিজস্ব বাজেট থেকে ১৫৩.৮৪ কোটি টাকা সক্রিয়ভাবে বরাদ্দ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পুঁজি বরাদ্দ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই প্রকল্পটির কাজ পুরোদমে এগিয়ে চলেছে।