নয়াদিল্লি: ক’দিন আগে ‘ভোট চুরি’ নিয়ে ‘হাইড্রোজেন বোমা’ ফাটাবেন বলেছিলেন রাহুল গান্ধি৷ বুধবার সাংবাদিক বৈঠক করে সেই বোমাই ফাটালেন তিনি অভিযোগ তুললেন, সফটওয়্যার ব্যবহার করে মুছে দেওয়া হয় ভোটারদের ভোট৷ আর সে কাজটা কেন্দ্রীয়ভাবে করে জাতীয় নির্বাচন কমিশন৷ শুধু তাই নয়, এই বিষয়টি নিয়ে জবাব দেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনকে ৭ দিন সময়ও বেঁধে দিয়েছিলেন তিনি৷ ৭ দিন নয়, আধ বেলার মধ্যেই রাহুল গান্ধির অভিযোগ নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে দিল কমিশন৷
advertisement
কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, ‘‘রাহুল গান্ধির অভিযোগ ভুল এবং ভিত্তিহীন৷’’ বিবৃতি জারি করে কমিশন জানিয়েছে, ‘‘অনলাইনে কোনও ব্যক্তির ভোট কারও পক্ষে মুছে দেওয়া সম্ভব নয়৷ রাহুল গান্ধি ভুল বুঝেছেন৷’’
বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘‘যাঁর ভোট সেই ভোটারকে কথা বলার সুযোগ না দিয়ে ভোট মুছে দেওয়া সম্ভব নয়৷ ’’ ২০২৩ সালে আলন্দ বিধানসভা কেন্দ্র থেকে অসফল ভাবে ভোটার মুছে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল৷ কিন্তু সেই চেষ্টা সফল হয়নি৷ এ বিষয়ে একটি এফআইআর ও দায়ের করা হয়েছিল৷
আগে, নির্বাচন কমিশন সূত্র দাবি করে, রাহুল গান্ধি যেভাবে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমারকে টার্গেট করছেন তা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক৷ কারণ, মাত্র ৬ মাস হল তিনি দায়িত্ব নিয়েছেন৷ বেনিয়মে অভিযোগ ২০২৪ এর নির্বাচন ঘিরে৷ কর্ণাটক-সহ একাধিক রাজ্যে ভোট চুরির অভিযোগে আজ বিস্ফোরক দাবি করেন রাহুল গান্ধি।
রাহুল গান্ধি অভিযোগ করেন সফটওয়্যার ব্যবহার করে পরিকল্পিতভাবে ভোটার তালিকা থেকে নাম মুছে ফেলা হচ্ছে। তাঁর দাবি, টার্গেটেড ভাবে কংগ্রেস এবং বিরোধীদের সমর্থক, গরিব ও দলিত ভোটারের নামই বেশি বাদ পড়ছে। অথচ, যাঁর নাম বাদ যাচ্ছে এবং যিনি নাম বাদ দিচ্ছেন তাঁদের কেউই জানেন না সে ব্যপারে। এদিন দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠকে সাক্ষ্য প্রমাণ সশরীরে হাজির করেন রাহুল।