বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi) বলেন, সরকার সতর্ক আছে৷ একই সঙ্গে রাজ্যগুলির সঙ্গে সমন্বয় সাধনের মাধ্যমে স্বাস্থ্য পরিকাঠামো উন্নয়ন করার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: মারাত্মক ছোঁয়াচে ওমিক্রন, কাপড়ের মাস্ক কোনও কাজে লাগবে না! দাবি বিশেষজ্ঞের
তিনি জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ওমিক্রন নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, আমাদের সাবধান ও সতর্ক থাকতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ, আরও বেশি কন্ট্যাক্ট ট্রেসিং, অনেক বেশি টেস্টিং, প্রতিষেধক দেওয়ায় গতি আনা এবং স্বাস্থ্য পরিকাঠামো মজবুত করার উপরে জোর দিতে হবে।নরেন্দ্র মোদি বলেন, সরকার সতর্ক রয়েছে এবং রাজ্য গুলির সঙ্গে সমন্বয় সাধন করে স্বাস্থ্য পরিকাঠামো উন্নয়ন করতে হবে।
advertisement
প্রধানমন্ত্রী জানান, যে সমস্ত রাজ্যে প্রতিষেধক অভিযান ঢিমেতালে চলছে, করোনা সংক্রমণ দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং স্বাস্থ্য পরিকাঠামোয় ঘাটতি রয়েছে, সেই সব রাজ্যের সরকারকে সাহায্য করার জন্য প্রতিনিধি দল পাঠাবে কেন্দ্রীয় সরকার।
সূত্রের খবর, করোনার দ্বিতীয়ের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে ওমিক্রন সংক্রমণ ঠেকাতে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দেবেন প্রধানমন্ত্রী।
আপাতত ভারতের ১৫টি রাজ্যে ওমিক্রন সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে। এখনও পর্যন্ত দেশে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা দুশো ছাড়িয়ে গিয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে ৯০ শতাংশের রোগ সেরে গিয়েছে, অথবা তাঁরা অন্যত্র চলে গিয়েছেন, এমনই জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। বুধবার দেশের কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত জানিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক, তখনই এ নিয়ে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাড়ছে ওমিক্রন! 'বাঁচতে হলে…’, কোন 'দুই' পথ দেখালেন এইমস প্রধান?
কিন্তু এর মধ্যে থেকেই একাধিক মহল থেকে দাবি করোনা টিকার বুস্টার ডোজের দাবি উঠেছে। ইউরোপের একাধিক দেশ ঠিক করেছে, দু'টি টিকা দেওয়ার পরেও তৃতীয় একটি টিকা দেওয়া হবে সাধারণ মানুষকে। ওমিক্রন ঠেকাতেই এই ব্যবস্থা করা হবে বলে খবর। তেমনই ভারত যাতে সাধারণ মানুষের কাছে বুস্টার ডোজ পৌঁছে দেয়, সেই দাবি তুলেছেন অনেকে।
এর ফলে এখন যাঁরা দু'টি ডোজ পেয়েছেন, তাঁরাও নতুন করে আরও একটি টিকা পাবেন। সেই বিষয়েও আলোচনা হতে পারে বলে খবর। উদ্ভুত ওমিক্রন পরিস্থিতি নিয়ে মঙ্গলবারই রাজ্যগুলিকে একটি চিঠি পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
সরকারের তরফ থেকে বলা হয়েছে, করোনার ডেল্টা প্রজাতির তুলনায় ওমিক্রন অনেক বেশি পরিমাণে সংক্রামক। তিনগুণ গতিতে এটি ছড়িয়ে পড়তে পারে সাধারণ মানুষের শরীরে। সেই কারণে রাজ্যে রাজ্যে তৈরি থাকতে হবে প্রশাসনকে। তৈরি রাখতে হবে ওয়ার রুম। সামান্যতম সংক্রমণের খবর পেলেও সেই বিষয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে। একে বারে স্থানীয় স্তরে কঠোর হাতে সংক্রমণ রুখে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে প্রশাসনকে।