advertisement
নিজের স্ত্রী সবিতা দেবী কোবিন্দকে নিয়ে ট্রেনে কানপুরে পৌঁছেছিলেন রাষ্ট্রপতি। ২০০৬ সালে এপিজে আব্দুল কালাম শেষ রাষ্ট্রপতি ছিলেন যিনি ট্রেনে সফর করেছিলেন। এদিন রাষ্ট্রপতি কোবিন্দের ট্যুইটারে ছবি শেয়ার করা হয়েছে এবং জন্মভূমিকে প্রণাম করে রাম নাথ কোবিন্দের আবেগঘন হয়ে পড়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। জন্মস্থানে এসে আবেগতাড়িত হয়ে পড়েছেন রাষ্ট্রপতি। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর মতো 'সাধারণ ছেলে' যে একদিন দেশের সর্বোচ্চ পদে আসীন হবেন, তা কখনও স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি। সেজন্য গ্রামবাসীদেরও ধন্যবাদ জানান তিনি।
তিন দিনের সফরে কানপুরে এসেছেন রাষ্ট্রপতি। রবিবার কানপুর দেহাত জেলায় নিজের গ্রাম পরাউঙ্খে যান। সেখানে নিজের পূর্বপরিচিত লোকজন, পুরনো বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলেন। স্বাধীনতা সংগ্রামী এবং সংবিধান প্রণেতারও শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন। তাঁরা যেভাবে উৎসর্গ করেছেন, তার জন্য সম্মান জানান। 'জন অভিনন্দন সমারোহ'-এ ভাষণের সময় আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন। বলেন, 'স্বপ্নেও কখনও ভাবিনি যে আমার মতো গ্রামের এক সাধারণ ছেলে দেশের সর্বোচ্চ পদে দায়িত্ব পালনের সুযোগ পাবে। কিন্তু আমাদের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা সেটা সম্ভবপর করে তুলেছে।'
রাষ্ট্রপতি আরও বলেছেন, 'আমার পরিবারের সংস্কার অনুযায়ী, গ্রামের প্রবীণতম মহিলাকে মা এবং প্রবীণতম পুরুষকে বাবার মর্যাদা দেওয়া হয়। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে। আমি খুশি যে বড়দের সম্মানের সেই ঐতিহ্য এখনও আমার পরিবার বহন করে চলেছে।' তিনি জানিয়েছেন, গ্রামের মাটির সোঁদা গন্ধ এবং স্থানীয়দের স্মৃতি বরাবর তাঁর মনে রয়েছে। 'এটা আমার গ্রাম শুধু নয়, আমার মাতৃভূমি, যেখান থেকে আমি দেশের সেবা করার অনুপ্রেরণা পেয়েছি।'