পিকে-র দাবি, লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি যদি বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেত, তাহলে নীতীশ কুমারের গল্প ওখানেই শেষ হয়ে যেত। বিহারের মানুষও চায়, ২০২৫ সালের পর নীতীশ কুমার আর থাকবেন না। বিহারের মানুষ যদি বিহারের বাইরে গিয়ে কাজ করতে না চায়, তাহলে আমাদের নীতীশ কুমারকে হারাতে হবে।”
আরও পড়ুন: বিরাট-যুগ শেষ, T20-তে কোহলির ব্যাটন এবার কার হাতে? স্পষ্ট হয়ে গেল বিশ্বজয়ের পরই! কে সেই ক্রিকেটার?
advertisement
শুধু নীতীশ কুমার নয়, তেজস্বী যাদব ও লালু প্রসাদ যাদবকেও আক্রমণ শানিয়েছেন প্রশান্ত কিশোর। পাশাপাশি বিজেপিকেও নিশানা করছেন তিনি। ২০২৫ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই বছরের ২ অক্টোবর জন সুরাজ পার্টি গঠন করতে চলেছেন পিকে। বিহারের ২৪৩টি বিধানসভা আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার প্রস্তুতিও নিচ্ছেন। প্রশান্ত কিশোর তার দলের সংগঠনের জন্য একটি কমিটিও গঠন করেছেন।
প্রসঙ্গত, তৃতীয় এনডিএ সরকার গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছেন নীতীশ কুমার৷ নীতীশের দল জেডিইউ এবং চন্দ্রবাবু নায়ডুর টিডিপি-র সমর্থনেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে নরেন্দ্র মোদি সরকার৷ প্রথম ভাবা হয়েছিল, সুযোগ পেয়ে নীতীশ হয়তো চাপে ফেলবেন বিজেপিকে৷ স্পিকারের মতো পদের দাবিও জানাতে পারে জেডিইউ৷ একান্ত তা না হলে রেলের মতো গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকের দাবি জানাবে নীতীশের দল৷ শেষ পর্যন্ত অবশ্য সে পথে হাঁটেননি নীতীশ৷ বরং রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের অবাক করে দিয়েই মোদি সরকারের মন্ত্রিসভায় ঠাঁই হয়েছে জেডিইউ-এর মাত্র দু জন সাংসদের৷ তাও আবার সেররম উল্লেখযোগ্য কোনও মন্ত্রক পাননি তাঁরা৷ তা নিয়েও নীতীশকে তীব্র আক্রমণ করেছেন প্রশান্ত কিশোর।