গত ৮ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত ঘোষণার পর থেকেই এর বিরোধিতা করছে কংগ্রেস ৷ সংসদে নোট বাতিল নিয়ে বলতে চেয়েও বলতে না পারার কারণে অবশেষে মোদির অন্যতম কর্মভূমি আমেদাবাদের জনসভাতে দাঁড়িয়েই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে তোপ দাগেন রাহুল ৷ বলেন, গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন সাহারা গোষ্ঠীর থেকে ন'বারে মোট চল্লিশ কোটি টাকা এবং ২৫ কোটি টাকার ঘুষ নিয়েছেন বিড়লা গোষ্ঠীর থেকেও ৷ রীতিমতো নথি প্রকাশ করে, তারিখ ধরে ধরে রাহুল অভিযোগ করেন, মোদি কবে কবে ঘুষ নিয়েছেন ৷
advertisement
'৬ মাসে ৯বার ঘুষ'
- ৩০ অক্টোবর ২০১৩: মোদিকে ২.৫ কোটি টাকা ঘুষ সাহারার - ১২ নভেম্বর ২০১৩: মোদিকে ৫ কোটি টাকা ঘুষ সাহারার - ২৭ নভেম্বর ২০১৩: মোদিকে ২.৫ কোটি টাকা ঘুষ সাহারার - ২৯ নভেম্বর ২০১৩: মোদিকে ৫ কোটি টাকা ঘুষ সাহারার - ৬ ডিসেম্বর ২০১৩: মোদিকে ৫ কোটি টাকা ঘুষ সাহারার - ১৯ ডিসেম্বর ২০১৩: মোদিকে ৫ কোটি টাকা ঘুষ সাহারার - ১৩ জানুয়ারি ২০১৪: মোদিকে ৫ কোটি টাকা ঘুষ সাহারার - ২৮ জানুয়ারি ২০১৪: মোদিকে ৫ কোটি টাকা ঘুষ সাহারার - ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৪: মোদিকে ৫ কোটি টাকা ঘুষ সাহারার
একইসঙ্গে ‘মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন তাঁকে দশটি প্যাকেটে কী দিয়েছিল সাহারা গোষ্ঠী ?’ ট্যুইটে প্রধানমন্ত্রীকে প্রশ্ন করেন রাহুল ৷
মোদির উপর দুর্নীতির অভিযোগ জানিয়ে রাহুলের দাবি, গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন তাঁকে দশটি প্যাকেটে কী দিয়েছিল সহারা গোষ্ঠী। সাহারার যা নথি পাওয়া গিয়েছে, তাতে আয়কর দফতরের সই আছে। ৬ মাসে ৯ বার মোদীকে কয়েক কোটি টাকা দিয়েছে সহারা ৷ ট্যুইটারে একটি নথি আপলোড করে রাহুল গান্ধি ট্যুইটে বলে, ‘মোদিজি প্রথমে এটা তো বলুন ২০১২/১৩ সালে এই ১০টি প্যাকেটে কী ছিল ?
রাহুলের এই মন্তব্যের পর তর্ক-বিতর্কের ঝড় ওঠে সোশ্যাল মিডিয়ায় ৷ রাহুলের পক্ষে সমর্থন বেশি হলেও, তাঁর বক্তব্যকে পাগলের প্রলাপ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন অনেকেই ৷
মোদি রাহুল বিতর্কে দু’ভাগ দেশ ৷ প্রদেশ ১৮-এর সমীক্ষায় ৬৫ শতাংশ লোক বলেছে রাহুল ঠিক কথাই বলছেন ৷
বৃহস্পতিবার রাহুলের অভিযোগের পাল্টা জবাব দেন মোদি ৷ ঘুষের প্রসঙ্গ এড়িয়ে রাহুল গান্ধিকে ব্যঙ্গ, কটাক্ষ করতেই খরচ হল নরেন্দ্র মোদির ভাষণের বড় অংশ।
অন্যদিকে, দুর্নীতিই নয় নোট বিতর্কেও লাগাতার মোদির সমালোচনা করেছেন ৷ বলেছেন , ‘দেশের মানুষের দুর্দশাগ্রস্ত ৷ আর প্রধানমন্ত্রী হেসেখেলে বেড়াচ্ছেন ৷ গরিব, কৃষক ও দিনমজুরদের জন্য এই সিদ্ধান্ত বিপর্যয় ৷’