বাজির দাপটে বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে বারুদের গন্ধ। এছাড়াও, বাতাসে ধূলিকণাও বেড়ে যায়। এর ফলে রাতে লোকজনদের নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হয়। হাঁপানির রোগীরা ঘরের ভিরতেই মাস্ক পরে বসে থাকেন।
সন্ধে থেকে Delhi-NCR-এর লোকজন শব্দবাজি-আতসবাজি শুরু করে দেয়। এর ফলে রাতে বাজির ধোঁয়ায় কুয়াশার মতো চাদরে ঢাকা পড়ে যায় দিল্লি। ভারতী আবহাওয়া বিভাগ (IMD) অনুযায়ী, দিল্লির লোধি রোডের এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (AQI) ৩০৬ পৌঁছে গিয়েছিল। এর মানে দূষণের অবস্থা বেশ খারাপ৷
advertisement
অন্যদিকে নয়েডার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (AQI) ছিল ৩৬৫ । রবিবার রাত ১২টার পর হরিয়ানার গুরুগ্রামের এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (AQI) ছিল ২৭৯।
এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স অনুযায়ী সূচক ০ থেকে ৫০ পর্যন্ত থাকলে ভালো ধরা হয়। অন্য দিকে সূচক ৫১-১০০ পর্যন্ত থাকলে বায়ুর পরিস্থিতি সাধারণ ধরা হয়। ১০১-২০০ মধ্যে সূচক থাকলে, ইঙ্গিত করে বায়ু ক্রমেই দূষণের দিকে যাচ্ছে। ৩০১-৪০০ মধ্যে সূচক থাকলে বায়ুর দূষণের পরিস্থিতি অত্যন্ত খারাপ বলে চিহ্নিত করা হয়। বায়ুর দূষণের সূচর ৪০১-৫০০ এর মধ্যে থাকলে পরিস্থিতি গুরুতর নির্দেশ করে। তবে সূচক ৫০০ ওপর চলে গেলে জরুরি অবস্থা ধরা হয় বলে জানা গিয়েছে।
দীপাবলির আগের দিন, শনিবার কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ সূত্রের খবর অনুযায়ী এ দিন দিল্লির বায়ুসূচকের মান ছিল ‘খুব খারাপ’, অর্থাৎ স্বাস্থ্যের পক্ষে যা অত্যন্ত ক্ষতিকর।