এই বইয়েই এক জায়গায় তিনি লিখেছেন, "৮ নভেম্বর ২০১৬ তে এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আমাকে কিছুই জানাননি। আমিও অন্য দেশবাসীদের মতো তাঁর টেলিভিশন শো থেকে বিষয়টি জেনেছিলাম। অনেকেই বলেছিলেন এক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে বিরোধীদের আস্থা অর্জন করা জরুরি ছিল। আমিও জোরালো ভাবে বলছি, কোনও দীর্ঘ আলোচনায় এই ধরনের হঠাৎ সিদ্ধান্তে পৌঁছন যায় না। কাজে তিনি আমায় কিছু না বলায় আমি সচকিত হইনি। এটা তাঁর একান্তই নিজস্ব শৈলী। রিপোর্টে পড়েছি উনি বিয়য়টি মন্ত্রীসভায় আলোচনা করেন। তারপরেই অল্প সময়ের ব্যবধানে তিনি বিষয়টি জনতার সামনে নিয়ে আসেন।"
advertisement
প্রণব মুখোপাধ্যায়ের আত্মকথার শেষ খণ্ড 'দ্য প্রেসিডেন্সিয়াল ইয়ার্স' নিয়ে তিক্ততা সৃষ্টি হয়েছিল তাঁর পরিবারে। প্রণব পুত্র অভিজিৎ বই প্রকাশের কথা সামনে আসতেই বলেন তাঁর অনুমতি ছাড়া এই বই বাজারে আনা চলবে না। তিনি বইটির পাণ্ডুলিপি খতিয়ে পড়তে চান। অন্য দিকে প্রণব কন্যা শর্মিষ্ঠা অভিজিতের এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলেন অভিজিৎ সস্তা প্রচারের লোভে এই ধরনের মন্তব্য করছেন।
প্রসঙ্গত বইটির কথা সামনে আসতেই বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হচ্ছিল, ইউপিএ সরকারের পতনের জন্য এই বইয়ে মনমোহন সিং ও সোনিয়া গান্ধিকে দায়ী করেছেন প্রণব মুখোপাধ্যায়।
-SHALINDRA WANGU