গতকাল গভীর রাতে প্রথম দফায় কাবুল থেকে ভারতে ফিরিয়ে আনা হয় ৪৫ জন ভারতীয়কে। আজ ফের আরও ১২০ জনকে নিয়ে দিল্লির নিকটবর্তী হিন্দন এয়ারপোর্টে অবতরণ করে বায়ুসেনার আরও একটি বিমান। তবে এই কাজটি খুব একটা সহজ ছিল না। বিমানবন্দরে আসার পথেই তালিবান সমর্থকদের বাধার মুখে পড়তে হয় তাদের। জানা গিয়েছে, ভারতীয় দূতাবাসের উপরও কড়া নজর রাখছিল তালিবানরা। কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনী পেরিয়েও ঢোকার চেষ্টা করে তালিবানরা।
advertisement
প্রসঙ্গত, তালিবানরা কাবুল দখলের পরই ১৫ অগস্টের রাতেই আফগানিস্তানে উড়ে যায় দুটি ভারতীয় বায়ুসেনার সি-১৭ বিমান। তাদের সঙ্গে যায় ইন্দো-টিবেটিয়ান (Indo-Tibetan Force) বাহিনীর জওয়ানরাও। তবে পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত ছিল যে ১৫ অগস্টের রাতে কোনও উদ্ধারকার্য শুরু করা যায়নি। এরপরে গতকাল ১৬ অগাস্ট থেকে শুরু হয় দফায় দফায় উদ্ধারকাজ।
কীভাবে উদ্ধারকার্য পরিচালন করা যায়, তা নিয়ে গতকাল বিকেলেই মার্কিন জাতীয় সুরক্ষা সংস্থার সঙ্গে কথা বলেছেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল, এমনটাই সূত্রের খবর। রাতে মার্কিন স্টেট সেক্রেটারি অ্যান্টনি ব্লিনকিনের সঙ্গেও কথা বলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। উল্লেখ্য, এর আগেও কান্দাহার বিমান হাইজ্যাক থেকে শুরু করে একাধিক দেশে ভারতীয়দের উদ্ধারকার্যে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন অজিত দোভাল। মঙ্গলবার তাঁরই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে শুরু হয়েছে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে এই বৈঠকে আলোচনার পরেই সম্ভবত আগামী উদ্ধার কাজের রুটম্যাপ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।