সংবিধান সংশোধনী এই বিলকে ‘ড্রাকোনিয়ান’ বিল বলে অভিহিত করছেন কংগ্রেস, তৃণমূলের মতো বিরোধীরা৷ এদিন লোকসভায় বিল পেশ করার সময় অমিত শাহের বিরুদ্ধে তীব্র বিক্ষোভ দেখান বিরোধী সাংসদেরা৷ স্লোগান তোলেন, ‘‘সংবিধান মত তোড়়ো (সংবিধান ভেঙো না)’’৷ অমিত শাহের দিকে ছোঁড়েন কাগজও৷
কংগ্রেস নেতা কে সি বেণুগোপাল অমিত শাহের জেল যাওয়ার প্রসঙ্গ তোলেন লোকসভায়৷ অমিত শাহ যখন গুজরাতের গৃহমন্ত্রী ছিলেন সেই গুজরাত হিংসা মামলার পরে তিনি কি পদত্যাগ করেছিলেন? তার উত্তর দিতে গিয়ে অমিত শাহ বলেন, ‘‘আমার বিরুদ্ধে যখন মিথ্যে অভিযোগ আনা হয়েছিল, আমি তখন নৈতিকতার খাতিরে পদত্যাগ করেছিলাম৷ যতদিন পর্যন্ত না আমি সমস্ত অভিযোগ থেকে মুক্ত হয়েছি, ততদিন কোনও পদের দায়িত্ব নিইনি৷’’
advertisement
অমিত শাহ জানিয়েছেন, বিলটি কেন্দ্রীয় সরকার সংযুক্ত কমিটির কাছে পাঠানোর প্রস্তাব দিচ্ছে। দু’পক্ষের সাংসদরা এই বিল নিয়ে আলোচনা করবেন৷ আপাতত স্থগিত অধিবেশন৷ যদিও বিরোধী সাংসদ যেমন মণীশ তিওয়ারি, কে সি বেণুগোপাল, আসাদউদ্দিন ওয়েসি এই বিলকে ‘সংবিধান-বিরোধী’ হিসাবে আখ্যা করে জোড়াল সওয়াল তুলেছেন অধিবেশনে৷
কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা এবং ওয়ানাডের সাংসদ প্রিয়ঙ্কা গান্ধি বঢরা এদিন বলেন, “আমি এটিকে সম্পূর্ণরূপে কঠোর একটি বিষয় হিসেবে দেখছি৷ কারণ এটা সবকিছুর বিরুদ্ধে। এই বিলকে দুর্নীতিবিরোধী ব্যবস্থা বলা কেবল জনগণের চোখের উপর পর্দা টানার মতো। কাল হয়ত, আপনি একজন মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে যে কোনও ধরনের মামলা করতে পারেন, তাঁকে দোষী সাব্যস্ত না করে ৩০ দিনের জন্য গ্রেফতার করে রাখতে পারেন, এবং তারপরে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে তাঁকে সরিয়ে দিতে পারেন। এটি সম্পূর্ণরূপে সংবিধান বিরোধী, অগণতান্ত্রিক এবং অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক৷”
হায়দরাবাদের সাংসদ এবং AIMIM প্রধান আসাদুদ্দিন ওয়াইসি বলেন, ‘‘বিজেপি সরকার দেশকে “পুলিশ রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়। “এই বিলটি অসাংবিধানিক। প্রধানমন্ত্রীকে কে গ্রেফতার করবে?… সব মিলিয়ে, বিজেপি সরকার এই বিলগুলির মাধ্যমে আমাদের দেশকে একটি পুলিশ রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়। আমরা তাদের বিরোধিতা করব… বিজেপি ভুলে যাচ্ছে যে ক্ষমতা চিরন্তন নয়,” তিনি বলেন।
আরও পড়ুন: নন্দীগ্রাম নিয়ে বিশেষ কৌশল…কী প্ল্যান করছেন অভিষেক? ক্যামাক স্ট্রিটে আজ জেলাওয়াড়ি বৈঠক
তৃণমূল কংগ্রেস নেতা অভিষেক ব্যানার্জি বলেছেন যে সরকার “কোনও জবাবদিহিতা ছাড়াই কেবল ক্ষমতা, সম্পদ এবং নিয়ন্ত্রণ অর্জনে আগ্রহী”। আমরা এই কর্তৃত্ববাদী মনোভাবের তীব্র নিন্দা জানাই এবং এই কঠোর সাংবিধানিক সংশোধনী বিল প্রবর্তনের বিরোধিতা করি, “তিনি X-এ বলেন।