TRENDING:

সন্তানশোকে পাথর দম্পতি, মৃত ছেলেকে ঘরে ফেরাতে ধরলেন এই পথ! প্রতিবেশীরা আতঙ্কিত

Last Updated:

মাস দুয়েক আগে সন্তানকে হারিয়েছিলেন দম্পতি। সেই শোক কাটিয়ে উঠতে পারছিলেন না। তাই তাঁরা শরণাপন্ন হলেন তান্ত্রিকের। ঘরে ফিরিয়ে আনলেন ছেলের আত্মা।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
মাস দুয়েক আগে সন্তানকে হারিয়েছিলেন দম্পতি। সেই শোক কাটিয়ে উঠতে পারছিলেন না। তাই তাঁরা শরণাপন্ন হলেন তান্ত্রিকের। ঘরে ফিরিয়ে আনলেন ছেলের আত্মা।
সন্তানশোকে পাথর দম্পতি, মৃত ছেলেকে ঘরে ফেরাতে ধরলেন এই পথ! প্রতিবেশীরা আতঙ্কিত
সন্তানশোকে পাথর দম্পতি, মৃত ছেলেকে ঘরে ফেরাতে ধরলেন এই পথ! প্রতিবেশীরা আতঙ্কিত
advertisement

শুনতে অদ্ভুত লাগলেও এমনই কাণ্ড ঘটেছে বাস্তবে। পৃথিবীতে যখন প্রযুক্তির উন্নতি ঘটেছে চলেছে প্রতি নিয়ত। ঠিক তখনই এমন কুসংস্কারাচ্ছন্ন ঘটনা ঘটে চলেছে একের পর এক। এবার তামিলনাড়ুতে।

জানা গিয়েছে, তামিলনাড়ুর বানিয়ামবাদি মহকুমার সোরাকায়ালানত্তম গ্রামে মৃত পুত্রের আত্মাকে ঘরে ফিরিয়ে আনার জন্য নানা ক্রিয়াকর্ম করেছেন এক দম্পতি। ঘটনায় হতবাক প্রতিবেশীরা। তাঁদের অনেকে আবার জানিয়েছেন, এই ঘটনার অতিপ্রাকৃত প্রভাব নিয়ে আতঙ্কিত তাঁরা।

advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোরাকায়ালানত্তম গ্রামের বাসিন্দা কেশবন ও বসন্তীর দুই ছেলে। বড় ছেলে এলিল আরসান এবং ছোটটি উদয় বসন্ত। গত এপ্রিল মাসে বছর কুড়ির উদয় বসন্ত গ্রামের কাছে সার্ভিস রোডের উপর এক দুর্ঘটনায় মারা যান।

ময়নাতদন্তের পর তাঁর দেহ কবর দিয়ে দেওয়া হয়। ছোট ছেলেকে হারিয়ে বাসন্তী অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। কেশবনের অবস্থাও ভাল নয়। এই পরিস্থিতিতে কে বা কারা তাঁদের পরামর্শ দেন, ছেলের মৃত শরীর দূরে কবরে থাকলেও তাঁর আত্মাকে নিজেদের কাছে এনে রাখতে পারেন বাসন্তী-কেশবন। নির্দিষ্ট উপায়ে তাঁর আত্মাকে বাড়ি ফিরিয়ে আনা যেতে পারে।

advertisement

সেই কাজ করে দিতে পারেন তান্ত্রিকরা। পরামর্শ মতো গত মঙ্গলবার, পরিবারের সকলে মিলে তান্ত্রিকের সাহায্যে কুশদ্রা পুজো করেন শ্মশানে। রীতিমতো ঢাক ও ঢোল বাজিয়ে পুজো করা হয় ওই এলাকায়, যেখানে উদয়কে সমাহিত করা হয়েছিল। এরপর শ্মশান থেকে বাড়ি পর্যন্ত গোটা রাস্তায় সর্ষে ও ফুল ছিটিয়ে দেন তাঁরা। বাতাসে হাত নেড়ে আত্মাকে স্বাগত জানাতে জানাতে বাড়ি ফিরে আসেন।

advertisement

বাড়িতে যেখানে উদয়ের ছবি বসানো ছিল সেখানেও ফুল, মালা দিয়ে পুজো-পাঠ করা হয়। প্রার্থনা করা হয় ছেলের আত্মা যেন এই বাড়িতেই থাকে।

আরও পড়ুন: পড়ুয়াদের জন্য বন্ধ হচ্ছে প্রাইভেট টিউশন? কেন এমন সিদ্ধান্ত ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর!

এমন আচার পালন করে খুশি বাসন্তী আর কেশবন। কিন্তু প্রতিবেশীরা রীতিমতো আতঙ্কিত। তাঁদের দাবি, পাড়ার ভিতর এভাবে প্রেত আত্মাকে আমন্ত্রণ জানালে অশুভ প্রভাব পড়তে পারে সকলের জীবনেই।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
লালগোলাতে রাজরাজেশ্বরী রূপে পূজিতা হন মা কালী! দেওয়া হয় ইলিশের ভোগ
আরও দেখুন

যদিও এভাবে আত্মাকে আমন্ত্রণ জানানো আদৌ সম্ভব কি না, বা আত্মার প্রভাবে অশুভ কোনও ঘটনা ঘটবে কি না তার যুক্তিগ্রাহ্য প্রমাণ কেউ দিতে পারেননি।

বাংলা খবর/ খবর/দেশ/
সন্তানশোকে পাথর দম্পতি, মৃত ছেলেকে ঘরে ফেরাতে ধরলেন এই পথ! প্রতিবেশীরা আতঙ্কিত
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল