ট্রান্সপোর্টের ব্যবসা রয়েছে নাগপুরের পেয়ারে খানের। তাঁর রাজ্য মহারাষ্ট্র দেশের অন্যতম ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্য। পাশাপাশি দেশের এই পরিস্থিতি, নিজেকে আটকে না রেখে এগিয়ে এলেন মানুষের পাশে দাঁড়াতে। ৮৫ লক্ষটাকার বিনিময়ে ৪০০ মেট্রিক টন লিকুইড অক্সিজেন কিনে দিলেন নাগপুর ও আশপাশের সরকারি হাসপাতালগুলিকে। যাতে করোনায় আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা বন্ধ না হয়।
India Today-তে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত এই ব্যবসায়ী ৩২ টন অক্সিজেন সরবরাহ করেছেন নাগপুর ও মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন হাসপাতালে।
advertisement
মানুষের সেবায় খানের এই অবদান দেখে নাগপুরের পুলিশ-প্রশাসন অক্সিজেন সরবরাহের খরচ বহন করার আর্জি জানায়। কিন্তু মানুষের সেবার কোনও অর্থ নিতেই রাজি নন তিনি। তাই সে আবেদনও তিনি নাকচ করে দেন। এবং জানান রমজানের সময় এটাই তাঁর জাকাত, কর্তব্য। রমজানের সময় মানুষের সাহায্যে বিভিন্ন সমাজসেবী সংগঠনকে মুসলিমদের কিছু দান করতে হয়। সেই জাকাতই তিনি করছেন বলে জানান।
এমন পরিস্থিতিতে মনুষ্যত্বের খাতিরে, মানুষের প্রতি কাজ করা, তাঁদের পাশে দাঁড়ানো তাঁর কর্তব্য বলে মনে করেন তিনি। জানা যায়, এই ব্যক্তি বেঙ্গালুরু থেকে তিন গুণ দাম দিয়ে দু'টি ক্রায়োজেনিক গ্যাস ট্যাঙ্কার ভাড়া করেছেন। ১৪ লক্ষ টাকা বেশি দিয়েছেন শুধুই মানুষের পাশে থাকতে।
বর্তমানে ১১৬টি অক্সিজেন কনসেনট্রেটর AIIMS, গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল এবং গান্ধি গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল নাগপুর-এ পৌঁছে দিয়েছেন তিনি।
ব্য়বসার ক্ষেত্রে বর্তমানে তাঁর কাছে অধীনে চলে ২০০০টি ট্রাক, কাজ করেন ১২০০ জন কর্মচারী। ছোট্ট পরিবার থেকে উঠে এসে আজ খানের নাম ছড়িয়ে পড়েছে স্থানীয় ব্যবসায়ী মহলে, এবার দেশের পাতাতেও সোনার জলে তা লেখা থাকবে।