১৪ ফেব্রুয়ারি জঙ্গি হামলায় ৪০ জন জওয়ানের মৃত্যু । বুধবার ভারতের আকাশসীমা লঙ্ঘন পাকিস্তানের। ভারতীয় বায়ুসেনার এক পাইলট পাকিস্তানের কব্জায়।
এ সব কথাই দেশবাসীর মুখে মুখে। আর এরকম পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী ব্যস্ত থাকলেন রাজনৈতিক কর্মসূচিতে। এ দিন, মেরা বুথ সবসে মজবুত, এই কর্মসূচিতে দলের ১৫ হাজার বুথ কর্মীদের ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী। বিরোধীদেরও আক্রমণ করতে ছাড়লেন না।
advertisement
এ নিয়েই প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা। বিরোধীদের দাবি, সেনার সাফল্য নিয়ে বিজেপি রাজনীতি করতে চাইছে।
এরই মাঝে, কর্নাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা দলের রাজ্য সবাপতির মন্তব্য গেরুয়া শিবিরে অস্বস্তি আরও বাড়িয়েছে।
বুধবার বিজেপি বিরোধী ২১টি দলের বৈঠকের পরেই বিরোধীরা খোঁচা দিয়েছিল। বৃহস্পতিবারও নরেন্দ্র মোদিকে নিশানা করে তাদের দাবি, সেনা নিয়ে রাজনীতি করছে কেন্দ্রের শাসক দল। একদিকে যখন জওয়ানরা বলিদান দিচ্ছেন, তখন তার কৃতিত্ব নিতে চাইছে বিজেপি। সেনা অভিযান নিয়ে রাজনীতি করছে। ঠিক যেভাবে সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের কৃতিত্ব মোদিকে দিয়ে তাঁর ছাপ্পান্ন ইঞ্চি ছাতির কথা বলে ঢাক পিটিয়েছিলেন বিজেপির নেতারা। এবারও শুধু নরেন্দ্র মোদি নন, তাঁর প্রধান সেনাপতি অমিত শাহও রাজনৈতিক কর্মসূীচি নিয়ে ব্যস্ত। এ দিনই নয়াদিল্লিতে দলের নেতাদের নিয়ে তাঁর বৈঠক।
কংগ্রেস মনে করিয়ে দিচ্ছে, পুলওয়ামায় যে দিন জঙ্গি হামলায় জওয়ানদের মৃত্যু হয়, সেদিনই উত্তরপ্রদেশে সাংবাদিক বৈঠক করার কথা ছিল প্রিয়াঙ্কা গান্ধি বঢরার। সক্রিয়ভাবে রাজনীতিতে নামার পর সেটাই ছিল তাঁর প্রথম সাংবাদিক বৈঠক। যার দিকে নজর ছিল দেশের। কিন্তু, নিহত জওয়ানদের প্রতি সম্মান জানিয়ে সেই সাংবাদিক বৈঠক বাতিল করে দেন প্রিয়ঙ্কা। এ দিন গুজরাতে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক ছিল। সেটাও বাতিল করা হয়েছে। এ ছাড়াও রাহুল গান্ধি একাধিক সভা বাতিল করেছেন। কারণ এটা রাজনীতি করার সময় নয় বলেই সকলের মত। কিন্তু, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তা মানছেন কই? লোকসভা ভোটকে পাখির চোখ করে তিনি এ দিনও বিজেপির ‘মেরা বুথ সবসে মজবুত’-কর্মসূচিতে ভাষণ দিলেন। বিরোধীদের দাবি, ‘মেরা বুথ সবসে মজবুতের’ বদলে এখন ‘মেরা জওয়ান সবসে মজবুত’ বলা দরকার। টুইটারে বিরোধীদের ‘মেরা জওয়ান সবসে মজবুত’ হ্যশট্যাগ কিন্তু মোদির ‘মেরা বুথ সবসে মজবুত’কে পিছনে ফেলে দিয়েছে।