এই অপারেশনে ব্যবহৃত হয় ফ্রান্স থেকে কেনা রাফাল যুদ্ধবিমান। সেখান থেকেই ছোড়া হয় স্ক্যাল্প মিসাইল। রাফাল শত্রুর ঘরে ঢুকে হামলা চালিয়ে ধ্বংসাত্মক পরিস্থিতি তৈরি করে।
আরও পড়ুন: কেদারনাথে ভয়ঙ্কর ভাইরাসের হানা! একসঙ্গে ১৪টি ঘোড়ার মৃত্যু, দিল্লি থেকে আসছে বিশেষ দল…
স্টর্ম শ্যাডো বা স্ক্যাল্প হল একটি ক্রুজ মিসাইল যা শুধু যুদ্ধবিমান থেকে নিক্ষেপ করা যায়, আর এর জন্য রাফালই সবচেয়ে উপযুক্ত। স্ক্যাল্প মিসাইল তৈরি করেছে ইউরোপিয়ান ডিফেন্স কোম্পানি MBDA। ভারতের ৩৬টি রাফাল জেটেই স্ক্যাল্প মিসাইল যুক্ত আছে।
advertisement
ভারতীয় বায়ুসেনার সব রাফালেই স্ক্যাল্প মিসাইল লাগানো আছে। রাফালের শব্দের চেয়েও বেশি গতি আর স্ক্যাল্পের সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করার ক্ষমতা এই জুটিকে করে তোলে অতিমারাত্মক। এই জুটি অপারেশন সিন্দুরে বড় ভূমিকা নিয়েছে। ১৩০০ কেজি ওজনের স্ক্যাল্প মিসাইলে প্রায় ৪০০ কেজি বিস্ফোরক থাকে।
আরও পড়ুন: অমরনাথ যাত্রা শুরু ৩ জুলাই, প্রকাশ্যে এল বরফে গঠিত শিবলিঙ্গের প্রথম ছবি, দেখুন…
রাফাল হল একটি ফ্রেঞ্চ যুদ্ধবিমান যা তৈরি করেছে Dassault Aviation। এটি দ্বি-ইঞ্জিন বিশিষ্ট, মাঝারি ও মাল্টিরোল ফাইটার জেট, যাকে বলা হয় ‘ওমনিরোল’—অর্থাৎ একাধিক রকম যুদ্ধ ভূমিকা পালনে সক্ষম। এটি এয়ার-টু-এয়ার, এয়ার-টু-গ্রাউন্ড ও সমুদ্রপৃষ্ঠে হামলা চালাতে পারে। ছোট আকারের পারমাণবিক অস্ত্র বহন করতেও সক্ষম। রাফাল সর্বোচ্চ ২৪,৫০০ কেজি ওজন নিয়ে উড়তে পারে এবং ৯,৫০০ কেজি পর্যন্ত ওজন বহন করতে পারে। সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ১৩৮৯ কিমি ও একটানা ৩৭০০ কিমি উড়তে পারে।
ভারত ৬৩,০০০ কোটি টাকায় ফ্রান্স থেকে আরও ২৬টি রাফাল মেরিন যুদ্ধবিমান কেনার চুক্তি করেছে। এর মধ্যে রয়েছে ২২টি একক আসনের ও ৪টি দ্বৈত আসনের বিমান। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে নিরাপত্তা বিষয়ক ক্যাবিনেট কমিটি এই ডিলকে অনুমোদন দিয়েছে। এর মাধ্যমে ভারতীয় নৌবাহিনীর শক্তি বাড়বে এবং হিন্দ মহাসাগরে চীনের প্রভাব মোকাবিলায় সহায়ক হবে।