জামাকাপড় থেকে খাবার, কেনার ইচ্ছে মনে জাগলেই হাত চলে যায় ফোনে। অর্ডার করার পর থেকে অপেক্ষা থাকে পছন্দের বস্তুটিকে ছুঁয়ে দেখার। কবে আসবে? কখন আসবে ডেলিভারি বয়? অধীর অপেক্ষায় থাকেন ক্রেতা৷ কিন্তু ঠিক কতদিন ধরে অপেক্ষা করা সম্ভব? ১ সপ্তাহ, ১ মাস, ১ বছর? এর পরেও ধৈর্য ধরতে পারা যায় কি?
advertisement
এই অপেক্ষা হতে পারে চার বছরেরও৷ কল্পনা করতে পারছেন কি? এমনই অদ্ভুত কাণ্ড ঘটেছে দিল্লি নিবাসী নিতিন আগরওয়ালের সঙ্গে৷ ২০১৯ সালে তিনি ‘আলি এক্সপ্রেস’ নামক একটি অনলাইন সংস্থা থেকে কিছু জিনিস অর্ডার দিয়েছিলেন৷ তা ২০২৩ সালে অর্থাৎ চার বছর পর এসে পৌঁছেছে৷
বর্তমানে এই সংস্থাটি ভারতে নিষিদ্ধ৷ তবে প্যাকেটটি এসে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গেই তাঁর ছবি পোস্ট করে ট্যুইট করেন নিতিন৷ ছবিতে প্যাকেটের ওপর লেখা চাইনিজ অক্ষর গুলোর পাশে জ্বলজ্বল করছে অর্ডারের তারিখ, সাল ২০১৯৷ ছবি পোস্ট করে নিতিনের বার্তা ‘‘কখনও আশা ছাড়বেন না’’৷
আরও পড়ুন: সন্তানশোকে পাথর দম্পতি, মৃত ছেলেকে ঘরে ফেরাতে ধরলেন এই পথ! প্রতিবেশীরা আতঙ্কিত
মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায় নিতিনের এই ট্যুইট৷ অনেকেই নিতিনকে ‘ভাগ্যবান’ বলেছেন৷ কারণ অনলাইন কেনাকাটা করতে গিয়ে সমস্যায় পড়েছেন বহু মানুষ। কখনও এক জিনিস অর্ডার করলে এসে পৌঁছচ্ছে অন্য এক জিনিস। আবার কখনও ভুল ঠিকানায় চলে যায় ব্যক্তির অর্ডার করা সামগ্রী৷ তবে নিতিনের ট্যুইটের জবাবে এক ব্যক্তি লেখেন তাঁর আশ্চর্য্য অভিজ্ঞতার কথা৷ তিনি অর্ডার করার ৬.৫ বছর পর পেয়েছিলেন কাঙ্খিত বস্তুটি৷