পুলিশ সূত্রে খবর, নিজের স্ত্রী ও ২ বছরের সন্তানকে নিয়ে গ্রামেই থাকতেন বছর পঁচিশের কে গণেশ পাত্র৷ ২০২০ সালে বাসন্তী নামের এক তরুণীকে বিয়ে করে গণেশ৷ ২০২১ সালে তাঁদের একটি কন্যা সন্তানও হয়৷ তবে, স্থানীয় লোকজনেরা পুলিশকে জানিয়েছেন, বাসন্তীকে প্রায়ই বাপের বাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য চাপ দিত গণেশ৷ এমনকী মারধরও করত৷
advertisement
সম্প্রতি, এই ৪ লক্ষ টাকার এই সরকারি ক্ষতিপূরণের কথা জানতে পারে গণেশ৷ সেই থেকেই ফন্দি আঁটার শুরু৷ পুলিশ জানিয়েছে, গণেশ প্রথমে নিজের বাবা নামে একটি সিম কার্ড কেনে৷ তার পরে সেই সিম কার্ডের নম্বর থেকেই বিভিন্ন সাপুড়েদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে শুরু করে গণেশ৷ সাপুড়েদের সে বলে, মহাদেবের একটি মন্দিরে সাপ রাখার জন্য সে বিষধর সাপের খোঁজ করছে৷
আরও পড়ুন: ‘না জানিয়ে আসব না, হবে না,’ বিধায়কদের কেন একথা বললেন মমতা? কড়া বার্তা
অনেক খোঁজাখুঁজির পরে শেষমেশ বিষধর কেউটের সন্ধানও পেয়ে যায় গণেশ৷ এক সাপুড়ের কাছ থেকে প্লাস্টিকের কৌটোয় সংগ্রহ করে সেই বিষধর সাপ৷ তারপর, স্ত্রীয়ের অগোচরে ঘরের মধ্যে লুকিয়ে রাখে সেই কৌটো৷ তারপরে, রাত ২ টো নাগাদ স্ত্রী ও মেয়ে যখন অকাতরে ঘুমোচ্ছে, তখন মাঝের ঘরের দরজা বন্ধ করে সেই সাপ ঘরে ছেড়ে দেয় গণেশ৷
এখানেই শেষ নয়৷ রাত পোহাতেই যখন নীল, পাথর হয়ে ঘরে পড়ে রয়েছে নিজেরই স্ত্রী-কন্যার দেহ, তখন বাইরে বেরিয়ে রাস্তায় বসে তারস্বরে কান্নাকাটির অভিনয় করতে শুরু করে সে৷ গণেশের স্ত্রী বাসন্তীর বাবা এবং অন্যান্যেরা দু’জনকে হাসপাতালে নিয়ে গেলেও ততক্ষণে সব শেষ৷
আরও পড়ুন: হিটলারের সঙ্গে তুলনা! রাজ্য-রাজ্যপাল সম্পর্কে এখনও জ্বলছে আগুন? বিস্ফোরক মমতা
কিন্তু, এর পরে পুলিশ ঘটনার তদন্তে নামতেই পেঁয়াজের খোলার মতো একে একে বেরিয়ে আসে একের পর এক রহস্যের স্তর৷ অবশেষে ফাঁস হয় গণেশের যাবতীয় কুকাজ৷ পুলিশের জেরার মুখেও নিজের অপরাধের কথা স্বীকার করেছে গণেশ৷
আরও খবর পড়তে ফলো করুন https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F