শুধু তাই নয়, দিঘার মন্দিরের বিগ্রহের প্রাণ প্রতিষ্ঠা এবং উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পুরীর কোন কোন সেবায়েত উপস্থিত ছিলেন, পুরীর মন্দিরের বিগ্রহ নির্মাণে ব্যবহৃত দারু কাঠ দিঘার মন্দিরের বিগ্রহ নির্মাণে ব্যবহার করা হয়েছে কি না, তদন্তে সেসবও খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷
পুরীর পর্যটনমন্ত্রীর মতে, পুরীর মন্দিরের অনুকরণে যেভাবে দিঘায় জগন্নাথ ধামের উদ্বোধন হয়েছে তাতে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের ভক্ত এবং ওড়িশার মানুষের ভাবাবেগে আঘাত লেগেছে৷
advertisement
আরও পড়ুন: ‘আমাকে অনেক ঘাম ঝরাতে হয়!’ দিঘায় দিলীপ-মমতা সাক্ষাৎ নিয়ে প্রশ্ন করতেই কী জবাব শুভেন্দুর?
পুরীর মন্দিরের অন্যতম সেবায়েত রাজেশ দ্বৈতপতির নেতৃত্বেই দিঘার জগন্নাথ মন্দিরে বিগ্রহের প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল৷ মন্দির পরিচালনার ভার দেওয়া হয়েছে ইসকনকে৷
অক্ষয় তৃতীয়ার দিন দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তার আগে দু দিন ধরে মন্দিরের বিগ্রহের প্রাণ প্রতিষ্ঠা পর্ব চলে৷ দিঘার এই নতুন মন্দিরকে ঘিরে পর্যটকদের মধ্যেও তুমুল আগ্রহ তৈরি হয়েছে৷
তবে দিঘার এই জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে রাজ্য সরকারের তীব্র বিরোধিতার পথেই হেঁটেছে রাজ্য বিজেপি৷ এমন কি, বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষের দিঘার মন্দিরের উদ্বোধনের দিন হাজির হওয়ায় তাঁর তীব্র সমালোচনা করেছেন দলের নেতাদের একাংশ৷ এবার ওড়িশার বিজেপি সরকারই দিঘার জগন্নাথ মন্দির নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিল৷