এদিন সুপ্রিম কোর্ট যা বলল দেখে নিন-
১) প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদে, বিচারপতি আবদুল নজীর, বিচারক সঞ্জীব খান্নার বেঞ্চ এদিন জানায়, একতরফা কথা শুনে তারা নাগরিকত্ব আইনে কোনও স্থগিতাদেশ দেবে না ৷ শুনানি চলাকালীন প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদে জানায়, এই মামলার দলিল এখনও শোনা অনেক বাকি ৷ তাই এখনই আমরা এই আইনের বিরুদ্ধে কোনও নির্দেশ জারি করতে পারি না ৷ আপাতত সরকারকে প্রোবিশনাল নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা আদালত বলতে পারে, তবে এই আইনের উপর কোনও স্থগিতাদেশ কেন্দ্রের দলিল না শোনা অবধি দিতে পারবে না ৷
advertisement
২) নাগরিকত্ব আইনে সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য কেন্দ্র সরকারকে ৪ সপ্তাহ সময় দিয়ে নোটিশ জারি করেছে সুপ্রিম কোর্ট ৷ অসম-ত্রিপুরা সম্পর্কিত প্রশ্নের উত্তরের জন্য শীর্ষ আদালত কেন্দ্রকে দুসপ্তাহ সময় দিয়েছে ৷ শুনানি চলাকালীন অ্যাটর্নি জেনারেল কেকে বেণুগোপাল আবেদন জানান, আদালত যাতে নির্দেশিকা জারি করে আর নতুন করে এই আইনের বিরুদ্ধে কোনও মামলা দায়ের করা যাবে না ৷
৩) সু্প্রিম কোর্ট নাগরিকত্ব আইন (CAA) নিয়ে দায়ের হওয়া মামলার আর্জির ভিত্তিতে তাকে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ভাগ করে দিয়েছে ৷ সেই ভিত্তিতে অসম, উত্তর-পূর্ব ভারতের ইস্যুগুলি নিয়ে আলাদা করে শুনানি হবে ৷ উত্তরপ্রদেশে ইতিমধ্যেই নাগরিকত্ব আইন লাগু করার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে ৷ তাই সেই ইস্যু নিয়ে দায়ের হওয়া মামলার শুনানি আলাদা করে হবে ৷ আদালত দায়ের হওয়া সমস্ত মামলার তালিকা জোন অনুযায়ী চেয়ে পাঠিয়েছে এবং সেই হিসাবেই কেন্দ্রের কাছে জবাব চেয়ে নোটিশ জারি করা হয়েছে ৷
৪) কেন্দ্র সরকার জবাব দেওয়ার পর ৫ সপ্তাহ বাদে প্রধান বিচারপতি সহ ৩ বিচারপতির বেঞ্চে ফের হবে CAA মামলার শুনানি ৷
৫) বুধবার শুনানি শেষ হওয়ার আগে শীর্ষ আদালত জানায়, দেশের বাকি রাজ্যের হাইকোর্টে CAA -এর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলায় কোনও নির্দেশ দেওয়া যাবে না এবং কেন্দ্র সরকারের আর্জি অনুযায়ী ওই সমস্ত মামলা সুপ্রিম কোর্টে ট্রান্সফার করতে হবে ৷