বাদল অধিবেশনের প্রথম দিনেই বিপাকে পড়ে নরেন্দ্র মোদি সরকার। তাদের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাব গৃহীত হল লোকসভায়। অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে বিতর্ক ওঠে ৷ বিতর্কের সময় পরে জানানো হবে বলে অনাস্থা প্রস্তাব গ্রহণ করলেন অধ্যক্ষ সুমিত্রা মহাজন ৷
বুধবার, মোদি সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনে বিভিন্ন দল। শেষ পর্যন্ত গৃহীত হয় একসময় এনডিএতে থাকা তেলুগু দেশম পার্টির সাংসদ কেসিনানি শ্রীনিবাসের আনা অনাস্থা প্রস্তাব। যাকে সমর্থন জানান কংগ্রেস-সহ বিরোধী দলের ৫০ জনেরও বেশি সাংসদ। প্রসঙ্গত, গত ১৫ বছরে এই প্রথম লোকসভায় কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে আনা কোনও অনাস্থা প্রস্তাব গৃহীত হল। শুক্রবার অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার পর ভোটাভুটি হবে ৷
advertisement
অন্ধ্রপ্রদেশকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়ার দাবিতে এ বছরের শুরুতে এনডিএ ছাড়ে চন্দ্রবাবু নাইডুর টিডিপি। গত বাজেট অধিবেশনেও তারা অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিল। কিন্তু তা গৃহীত হয়নি। কিন্তু, এবার বাদল অধিবেশনের প্রথম দিনেই মোদি সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব গৃহীত হল। লোকসভা ভোটের আগে যা সরকারের রক্তচাপ বাড়াতে পারে। যদিও সংসদের নিম্নকক্ষে এখন বিজেপি ও সহযোগীদেরই সংখ্যাগরিষ্ঠতা।
আরও পড়ুন
নৃশংস! বুকে পিস্তল ঠেকিয়ে স্বামীর কান কেটে নিলেন স্ত্রী
লোকসভায় ম্যাজিক সংখ্যা ২৭২ ৷ সংসদে এখন বিজেপির সাংসদ সংখ্যা ২৭৩ ৷ এই সংখ্যার জোরেই বাজিমাত করতে পারে বিজেপি ৷ তবে এখনই কাটছে না আশঙ্কা ৷
আরও পড়ুন
‘বিয়ে মানেই এটা নয় যে, যৌনসঙ্গমের জন্য সবসময় তৈরি থাকতে হবে’
পর্যবেক্ষদের একাংশের মতে, মোদি সরকারের হাতে সংখ্যা থাকলেও অনাস্থা প্রস্তাব গৃহীত হওয়া, বিরোধীদের হাতে বড় অস্ত্র তুলে দিল। কারণ, এবার তারা সংসদে মোদি সরকারকে নানা ইস্যুতে আক্রমণের সুযোগ পাবে। যা টেলিভিশনে দেখতে পারবে দেশবাসী। পাশাপাশি, এটাও বোঝা যাবে, বিরোধীরা কতটা এককাট্টা। মোদি বিরোধী শিবিরে ঠিক কারা কারা আছে সে সম্পর্কে স্পষ্ট আভাস পাওয়া যেতে চলেছে বাদল অধিবেশনে ৷ বিজু জনতা দল, পিডিপি, শিবসেনা, শিরোমণি অকালির মতো দলগুলির কী অবস্থান, তাও স্পষ্ট হয়ে যেতে পারে।