সামিটে সালভাতোর বলেন, ‘ভারতে গ্ণতন্ত্র রয়েছে। উদার গণতন্ত্র রয়েছে। এবং একটি শক্তিশালী উদার গনতন্ত্র রয়েছে…’ভারতে উদার গণতন্ত্র নেই’ বলতেই পছন্দ করেন ভারতের সমালোচকরা। ভারতের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো উত্তর আমেরিকা, পশ্চিম ইউরোপ এবং অষ্ট্রেলিয়ার প্রতিষ্ঠানের আদলে তৈরি। বিশ্বের সর্বত্র এর কদর রয়েছে। প্রকৃতপক্ষে ভারত বিশ্বের একমাত্র উত্তর-ঔপনিবেশিক, ঐতিহ্যশালী দেশ, যাদের কাছে কীভাবে উদার গণতন্ত্র চালাতে হয় সেই রহস্যময় মন্ত্র রয়েছে’।
advertisement
আরও পড়ুন: কেন রামলালার মূর্তি তৈরি কালো পাথরে? আসল কারণ জানা গেল রাইজিং ভারত সামিটে
সম্প্রতি নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) লাগু হয়েছে সারা দেশে। সেই নিয়ে চলছে তুমুল বিতর্ক। সিএএ-র বিরুদ্ধে সরব বিরোধীরা। তবে ব্যাবোনস বলছেন, এটা ‘ভাল নীতি’। তাঁর কথায়, ‘এটা শুধুমাত্র ভারতেই সম্ভব। কারণ এ দেশের অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ এবং গণতন্ত্র রয়েছে’।
এখানেই থামেননি সালভাতোর। তিনি আরও বলেন, ‘শুধু পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তান নয়, এই গোটা অঞ্চলের মানুষ ভারতে আশ্রয় নিতে চান, কারণ এ দেশে স্বাধীনভাবে থাকা যায়, যা তাঁরা নিজেদের দেশে পান না’।
বছর দুয়েক আগে একটি সাক্ষাৎকারে ভারতের বুদ্ধিজীবীদের ভারত বিরোধী আখ্যা দিয়েছিলেন সালভাতোর ব্যাবোনস। সেই নিয়ে তীব্র বিতর্কও হয়। এদিন তার ব্যাখ্যা দেন তিনি। সালভাতোরের বক্তব্য, পশ্চিমি মিডিয়ায় ভারত সম্পর্কে অধিকাংশ নেতিবাচক প্রতিবেদন ভারতীয় এবং ভারতীয় বংশোদ্ভূত বুদ্ধিজীবীরাই লেখেন।
সালভাতোর বলেন, ‘আমি কোনও ব্যক্তির কথা বলিনি। ভারত-বিরোধী শ্রেণীর কথা বলেছি। অষ্ট্রেলিয়ার বুদ্ধিজীবী শ্রেণীকে অস্ট্রেলিয়ার বিরোধিতা করতে দেখা যায়। আমেরিকার বুদ্ধিজীবী শ্রেণী ক্রমাগত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং এখানকার প্রতিষ্ঠানগুলির সমালোচনা করে।
এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। ঠিক সেভাবেই আমি ভারতীয়দের বোঝাতে চেয়েছিলাম, কোনও পশ্চিমা বিশেষজ্ঞ এদেশে এসে নেতিবাচক রিপোর্টিং করে না, সেটা এক শ্রেণীর ভারতীয়রাই করে। যারা পশ্চিমের আউটলেটগুলিতে লেখালিখি করেন, পশ্চিমের অ্যাকাডেমিক সম্মেলনে বক্তৃতা করতে যান। ভারত সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা এঁদেরই দান’।
