পুলিশি তদন্তে ত্রিপুরার ধুলাই জেলার বাসিন্দা গোপাল বিশ্বাস স্বীকার করেন, তিনি প্রদীপ্ত ভট্টাভার্য ও মৃত্যুঞ্জয় দেবনাথ নামে গ্যাং-এর ২ সদস্যকে যোগাযোগ করেছিলেন তাঁর মেয়েকে ডাক্তারিতে ভর্তি করার জন্য। এই কাজের জন্য তার কাছ থেকে ৫০ লাখ টাকা চাওয়া হয়। তিনি রাজি হন এবং টাকাটা দিয়েও দেন (NEET 2021 Cheating)।
কীভাবে কাজ করে এই গ্যাং? কীভাবে তারা মেডিক্যালে কাউকে ভর্তি করিয়ে দিতে পারে? কীভাবে হয় অপারেশন? জানা যায়, নির্দিষ্ট পরীক্ষার দিন যে-ছাত্র বা ছাত্রী গ্যাং-কে টাকা দিয়েছে, তার হয়ে অন্য একজন পরীক্ষায় বসবে! একজন ক্লাস টুয়েলভ পাশ করা ছেলে-মেয়ের জায়গায় পরীক্ষা দেবে কোনও মেডিক্যালের পড়ুয়া! স্বাভাবিকভাবেই তার কাছে তো পরীক্ষার প্রশ্নপত্র জলভাত! মেডিক্যালে উত্তীর্ণ হওয়া আটকায় কে!
advertisement
২০২১-এর NEET পরীক্ষার সময় এই র্যাকেটটি সামনে আসে যখন একটি অন্য ছাত্রের হয়ে পরীক্ষায় বসেছিল জুলি কুমারি নামে বেনারস হিন্দু ইউনিভার্সিটির এক ছাত্রী।
বারাণসীর পুলিশ কমিশনার এ সতীশ গণেশ জানান, NEET exam solver gang কেস-এ এই প্রথম কোনও পরীক্ষার্থী ধরা পড়ল। উত্তর প্রদেশের পুলিশ জানিয়েছে, এই র্যাকেটে অন্তত ২৫ জন ছাত্র-ছাত্রী জড়িত থাকতে পারে। এর আগে এই র্যাকেটের মাস্টারমাইন্ড-কে খুঁজে বের করেছিল বারাণসী পুলিশ, কিন্তু সে পরিবার-সহ ফেরার হয়ে যায়। নাগপুরের একটি কোচিং সেন্টার থেকে আসত মেডিক্যাল পড়ুয়ারা যারা অন্য ছাত্র-ছাত্রীর হয়ে পরীক্ষায় বসত। সিবিআই সেই কোচিং সেন্টারের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই মামলা রুজু করেছে।