ব্যাগ খুলতেই বীভৎস দৃশ্য! কাটা হাত-পা, মুণ্ডহীন একটা দেহের কিছু দেহাংশ৷ মৃতদেহকে দেখে চিহ্নিত করা অসম্ভব৷
কিন্তু, তার মাঝেই তদন্তকারী এক অফিসার লক্ষ্য করেন, সেই কাটা হাতে উল্কি দিয়ে লেখা রয়েছে ‘রাহুল’৷
advertisement
ওই নাম থেকে পুলিশ ধাপে ধাপে খুঁজে বের করে বছর চল্লিশের রাহুল নামের এক জনৈক ব্যক্তিকে৷ পেশায় জুতো ব্যবসায়ী চন্দৌসিরই চুন্নির বাসিন্দা৷
দেহাংশ খুঁজে পাওয়ার কয়েক সপ্তাহ আগেই সে তাঁর স্বামীর নামে নিখোঁজ ডায়েরি লিখিয়েছিল রাহুলের স্ত্রী৷ খুনের কথা সামনে আসতেই শুরু হয় তদন্ত৷ তদন্তে রাহুলের স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে শুরু করে পুলিশ৷ তাঁর কথায় বেশ কিছু অসঙ্গতি ধরা পড়ে৷ খুনের প্রাথমিক সন্দেহই গিয়ে পড়ে রাহুলের স্ত্রীয়ের উপরে৷
গত ১৫ বছর ধরে রাহুলের সঙ্গে বিবাহিত ছিলেন তাঁর স্ত্রী৷ তাঁদের একটি ১২ বছরের মেয়ে ও ১০ বছরের ছেলে আছে৷ জিজ্ঞাসাবাদের সময় ওই মেয়েই জানায়, তাঁর মা ও বাবার মাঝেমধ্যেই ঝগড়া হতো৷ তাদের বাড়িতে তিন অচেনা লোক আসত, তারা তাদের চকোলেটও দিত৷ একসময় জেরায় ভেঙে পড়ে ওই কিশোরী৷ জানায়,বাবার খুনে জড়িত রয়েছে তার মা-ই৷
এরপরেই রাহুলের স্ত্রী রুবিকে চেপে ধরতে বেরিয়ে পড়ে একের পর এক তথ্য৷ পুলিশ জানিয়েছে, বাড়িতেই নিজের প্রেমিক ও আরও একজনের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে স্বামীকে হত্যা করে সে৷ তারপর দেহ টুকরো টুকরো করে সর্বত্র ছড়িয়ে দেওয়া হয়৷
