অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা বলেন, ‘‘আমি এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পেরে সম্মানিত বোধ করছি। ২০২২ সালের ১২ অক্টোবর রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর হাত ধরে জাতীয় আইন বিশ্ববিদ্যালয়ের ত্রিপুরা ক্যাম্পাসের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয়েছিল। সেই সময় আমি এই জায়গা পরিদর্শন করি। আর অনেক মানুষ এই স্মরণীয় যাত্রায় তাদের সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন।’’ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আইন শিক্ষা শুধু আইন শেখার জন্য নয়। সমাজে ন্যায়বিচার, নৈতিকতা এবং আইনের শাসনকেও প্রতিষ্ঠা করার ক্ষেত্রে আইন শিক্ষার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
advertisement
অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা এদিন আরও বলেন, ‘‘আইন ও শাসনের ক্ষেত্রে সমসাময়িক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেই জাতীয় আইন বিশ্ববিদ্যালয়ের ত্রিপুরা ক্যাম্পাস আইনী গবেষণা ও উন্নয়নের কেন্দ্র হিসাবে কাজ করবে। ইতিমধ্যেই এই কাজ শুরু হয়ে গেছে। রাজ্যে আইন শিক্ষার ক্ষেত্রে জাতীয় আইন বিশ্ববিদ্যালয় একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক। রাজ্যে জাতীয় আইন বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন আইন শিক্ষা, গবেষণা এবং নীতি নির্ধারণের ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের যে দৃঢ় অঙ্গীকার তা প্রতিফলিত করে। রাজ্য সরকার জাতীয় আইন বিশ্ববিদ্যালয়, ত্রিপুরার উন্নয়নে সমস্ত প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানের জন্য সম্পূর্ণরূপে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এক্ষেত্রে রাজ্য সরকার জাতীয় আইন বিশ্ব বিদ্যালয়, ত্রিপুরাকে তার লক্ষ্য অর্জনে আর্থিক, প্রশাসনিক এবং নীতিগত সহায়তা প্রদান অব্যাহত রাখবে।’’
আরও পড়ুন– এক ধাক্কায় অনেকটাই নামল পারদ ! সপ্তাহান্তে রাজ্যে শীতের আমেজ
তিনি বলেন, জাতীয় আইন বিশ্ববিদ্যালয়ের ত্রিপুরা ক্যাম্পাসের ভূমিপূজন অনুষ্ঠান একটি ভবন নির্মাণের সূচনা নয় জ্ঞান, ন্যায়বিচার এবং সমাজের সেবায় সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের ভিত্তি হিসেবে চিহ্নিত হবে।