ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় সনিয়া-রাহুলের স্বস্তির মধ্যেই এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তদন্তকারী দল দিল্লি পুলিশের অর্থনৈতিক অপরাধ শাখা (EOW) তদন্ত সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করবে বলে ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে।
advertisement
দিল্লির আদালত আরও রায় দিয়েছে যে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি, সোনিয়া গান্ধি এবং আরও বেশ কয়েকজনকে এই মামলার সঙ্গে সম্পর্কিত। দিল্লি পুলিশের তাঁদের বিরুদ্ধে দায়ের করা এফআইআর-এর অনুলিপি দেওয়ার অধিকার নেই।
ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় রাহুল-সোনিয়ার বিরুদ্ধে আনা অর্থপাচারের মামলার শুনানি চলে আজ দিল্লির রাউস এভিনিউ কোর্টে। বিচারক বিশাল গোগনি ইডির যুক্তি উড়িয়ে জানান, ব্যক্তিগত স্তরে অর্থ পাচারের অভিযোগ আনা হয়েছে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে। এমনকী কোনও এফআইআর নেই। ফলে এই মামলা ধোপে টেকে না।স্বভাবতই আদালতের এই মন্তব্য রাহুল-সোনিয়ার জন্য সাময়িক স্বস্তি দিচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় তদন্ত শুরু করে ইডি। বিজেপি নেতা সুব্র্যহ্মণম স্বামীর দায়ের করা মামলায় আদালতের রায়ের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়। স্বামীর অভিযোগ ছিল, বেআইনিভাবে অ্যাসোসিয়েট জার্নাল লিমিটেডের ২০০০ কোটির সম্পত্তি দখল করেছে ইয়ং ইন্ডিয়া, যার শেয়ারহোল্ডার ছিলেন সোনিয়া এবং রাহুল-সহ আরও অনেকে। অ্যাসোসিয়েট জার্নাল লিমিটেড থেকেই প্রকাশিত হত ন্যাশনাল হেরাল্ড সংবাদপত্রটি। তাই এই মামলার প্রথম থেকেই কংগ্রেস নেতৃত্বের নাম জড়িয়েছে।
