আগের জি–২০ সভাপতিত্বের ধাঁচে, এবারও লক্ষ্য—একটি সর্বভারতীয়, প্যান–ইন্ডিয়া ব্রিকস চিত্র বিশ্বদরবারে উপস্থাপন করা, যাতে দেশের সমৃদ্ধ ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও শিল্পধারা প্রতিফলিত হয়।
‘প্রচণ্ড ব্যথা হচ্ছিল, রাগে কামড়ে দিলাম’…উত্তরপ্রদেশে কালো গোখরো সাপের ছোবল খেয়ে পাল্টা কৃষকেরও!
advertisement
নথি অনুযায়ী, ২৮টি রাজ্য ও ৯টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রায় ৬০টি শহরে ব্রিকস বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। পাশাপাশি, ৩–৪ মিনিটের একটি বিশেষ ব্রিকস থিম সং তৈরি হবে, যা গাইবেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন কোনো ভারতীয় শিল্পী—যিনি বিশ্বসঙ্গীতে পারদর্শী এবং আন্তর্জাতিক মঞ্চে পারফর্ম করেছেন বা বৈশ্বিক পুরস্কারপ্রাপ্ত।
মার্কিন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একসময় ব্রিকসকে “মার্কিন ডলারের ওপর আক্রমণ” বলে মন্তব্য করেছিলেন এবং সদস্য দেশগুলির ওপর শুল্ক আরোপের পক্ষে মত দিয়েছিলেন।
ব্রিকসের গঠন ও ভারতের লক্ষ্য
ব্রিকস (BRICS) একটি আন্তঃসরকারি সংগঠন, যার পূর্ণ সদস্য ১১টি দেশ—ভারত, ব্রাজিল, রাশিয়া, চিন, দক্ষিণ আফ্রিকা, মিশর, ইথিওপিয়া, ইরান, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত—এছাড়াও ১০টি সহযোগী দেশ রয়েছে।
২০২৬ সালে সভাপতিত্ব গ্রহণের সঙ্গে সঙ্গে ভারত জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরে নিজেদের অবস্থান আরও শক্তভাবে তুলে ধরতে চায়। নথিতে বলা হয়েছে, ভারত ইতিমধ্যেই প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার, জলবায়ু অর্থনীতি, ডিজিটাল শাসনব্যবস্থা এবং ‘গ্লোবাল সাউথ’-এর কণ্ঠস্বর জোরদার করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে।
এই লক্ষ্যে সরকার ব্রিকস ব্র্যান্ডিং ও জনসংযোগ অভিযানে নামবে—যাতে দেশি ও বিদেশি স্তরে ব্রিকসের লোগো, থিম, অগ্রাধিকার ও সাফল্যগুলি জনপ্রিয় করা যায়।
পরিকল্পিত কর্মসূচি
ব্রিকস সভাপতিত্বকে কেন্দ্র করে সরকার বেশ কিছু অভিনব অনুষ্ঠান আয়োজনের পরিকল্পনা করেছে—
- ব্রিকস-থিমযুক্ত ঘুড়ি উৎসব
- দীপাবলিতে পরিবেশবান্ধব প্রদীপ (ইকো-দিয়া)-এর আলোয় ব্রিকস লোগো প্রক্ষেপণ
- দেশজুড়ে শহরগুলিতে হোলোগ্রাফিক ব্রিকস লোগো প্রদর্শন
- প্রজাতন্ত্র দিবসে ব্রিকস ট্যাবলো
- বিমান সংস্থাগুলিতে ব্রিকস ব্র্যান্ডিং, যেখানে বিদেশি প্রতিনিধিদের পরিবহন হবে
এছাড়াও, বিভিন্ন রাজ্যের উৎসবে ব্রিকস থিম তুলে ধরা হবে—যেমন, কেরলের নৌকাবাইচ উৎসব, ওডিশার আন্তর্জাতিক বালুকাশিল্প উৎসব, গোয়ার কার্নিভাল ইত্যাদি।
পাশাপাশি, মেট্রো, রাজ্যবাস, রেল—এসব গণপরিবহনে ব্রিকস লোগো প্রদর্শনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। শহরগুলিতে ড্রোন শো, আর খাদ্য উৎসবের সঙ্গে মিলিয়ে ব্রিকস ফুড ফেস্টিভ্যাল আয়োজনের পরিকল্পনাও রয়েছে।
ভারত ২০২৩ সালে জি–২০ সভাপতিত্ব অত্যন্ত সফলভাবে সম্পন্ন করেছিল, যার ফলাফল ছিল ‘নয়াদিল্লি লিডার্স ডিক্লারেশন’ (NDLD)—যা সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়।
“জন–ভাগীদারি” বা জনসম্পৃক্ততার মাধ্যমে জি–২০ কার্যক্রম পৌঁছে গিয়েছিল দেশের ১৪০ কোটি মানুষের কাছে, অংশ নিয়েছিল সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল। ৬০টি শহরে প্রায় ২২০টি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল, এমনকি জম্মু–কাশ্মীরেও।এবার সেই সাফল্যের মডেলকেই অনুসরণ করে ২০২৬ সালের বছরব্যাপী ব্রিকস সভাপতিত্ব আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত।
