প্রধানমন্ত্রী মোদিকে বিশ্বের সবচেয়ে পরিশ্রমী নেতাদের একজন বলে অভিহিত করে বিল গেটস প্রশ্ন করেন, বিশ্রামের জন্য তিনি কী করেন? প্রধানমন্ত্রীর জবাব ছিল মজাদার। তিনি বলেছেন, অটোপাইলট মোডে তিনি বিশ্রাম নিয়ে নেন।
মোদির কথায়, “শারীরিক শক্তি থেকে এই এনার্জি আসে না। এই এনার্জি আত্মোৎসর্গ এবং আবেগ থেকে আসে। আমার হাতে এখন অনেক কাজ। সেটাই আমাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। আমার শরীর সেভাবেই তৈরি হয়ে গিয়েছে। আমি গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করি, আবার ভোর ভোর উঠে পড়ি। বিশ্রামের জন্য সময় বের করতে হয় না, অটোপাইলট মোডে হয়ে যায়”।
advertisement
আরও পড়ুন: ‘ভারতে নতুন প্রযুক্তি গ্রহণে মহিলারা অনেক বেশি তৎপর’, বিল গেটসকে ‘ড্রোন দিদি’ বোঝালেন মোদি
এই প্রসঙ্গে পুরনো দিনের কথাও টেনে আনেন প্রধানমন্ত্রী, “হিমালয়ে কাটানোর সময় ব্রাহ্ম মুহূর্তে স্নান করতাম। এখনও তাই করি। ভোর ৩.২০ থেকে ৩.৪০ মিনিটের মধ্যে আমি তৈরি হয়ে যাই। এই জিনিসগুলোই সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আমার শরীরকে কন্ডিশন করেছে”।
আরও পড়ুন: ‘ড্রোন দিদি’ থেকে AI চ্যালেঞ্জ! বিল গেটস মোদির আলোচনায় আর কী কী…? চমকে দেওয়া তালিকা
বিল গেটসের সঙ্গে আলাপচারিতায় কোভিড অতিমারীর কথাও ওঠে। গোটা বিশ্বকে ভ্যাকসিন দিয়েছে ভারত। কিন্তু নিজের দেশেই ভ্যাকসিনেশনের সময় প্রতিরোধের মুখে পড়তে হয়েছে স্বাস্থ্যকর্মীদের। এই প্রসঙ্গে জিজ্ঞেস করলে মোদি বলেন, “এটা সরকার বনাম ভাইরাস নয়। আমি এটাকে প্রথম থেকেই জীবন বনাম ভাইরাসের লড়াই হিসেবে দেখেছি”।
সেই কারণেই শুরু থেকে জনগণের সঙ্গে খোলাখুলি যোগাযোগ করতেন বলেও জানান মোদি। বলেন, ‘জনগণের আস্থা অর্জনে প্রকাশ্যে সমস্ত কোভিড ১৯ প্রোটোকল অনুসরণ করতাম”। তাঁর কথায়, ‘হাততালি দেওয়া, থালা বাজানো, প্রদীপ জ্বালানোর মতো বিষয়গুলো নিয়ে অনেকেই মজা করেছে। কিন্তু করোনার সঙ্গে লড়াইয়ে জাতিকে এক সুতোয় বাঁধাটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল”।
মোদি বিল গেটসকে আরও বলেন, “দেশবাসীর আস্থা অর্জনে আমি প্রথম ভ্যাকসিন নিয়েছিলাম। আমার মা-র বয়স তখন ৯৫ বছর। তিনিও প্রকাশ্যে ভ্যাকসিন নিয়েছিলেন। আমি উদাহরণ তৈরি করতে চেয়েছি যে ভ্যাকসিন মানুষের জীবন বাঁচাবে”। প্রায় ৪৫ মিনিটের আলাপচারিতায় আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স, প্রযুক্তি, জলবায়ু ইত্যাদি নিয়ে বিল গেটসের সঙ্গে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।