নীতি প্রধানমন্ত্রী আয়োগের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কেন্দ্র এবং রাজ্যগুলি যদি টিম ইন্ডিয়ার মতো একসঙ্গে কাজ করে, তাহলে কোনও লক্ষ্যই অসম্ভব নয়৷ নরেন্দ্র মোদি আরও বলেন, প্রত্যেক ভারতীয়ের লক্ষ্য উন্নত ভারত গঠন করা৷ প্রত্যেকটি রাজ্য উন্নত হলেই ভারত উন্নত হবে৷ এটাই ১৪০ কোটি ভারতীয়ের ইচ্ছা৷
আরও পড়ুন: দাউ দাউ করে জ্বলছে শরীর, ছুটছেন যুবক! হাড় হিম করা দৃশ্যে শিউরে উঠল মেদিনীপুর শহর
advertisement
এ বারের নীতি আয়োগের বৈঠকের মূল ভাবনাই ২০৪৭ সালে বিকশিত ভারতের জন্য বিকশিত রাজ্য তৈরি করা৷ বৈঠকের মূল লক্ষ্য ছিল ২০৪৭ সালের মধ্যে উন্নত ভারত গঠনের রূপরেখা তৈরি করা৷ প্রতিটি রাজ্যকেই অন্তত একটি করে আন্তর্জাতিক পর্যটনকেন্দ্র গড়ে তোলার উপরে জোর দিতে পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী৷
এ দিনের বৈঠকের পর তামিলানাড়ুর এমকে স্ট্যালিন, পঞ্জাবের ভগবন্ত মান-এর মতো বিরোধী শিবিরের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে হাসি মুখে কথা বলতে দেখা যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে৷ তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রের কাছে রাজ্যের বকেয়া অর্থ মিটিয়ে দেওয়ার আর্জি জানান৷ অন্যদিকে পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন, হরিয়ানার সঙ্গে ভাগ করে নেওয়ার অতিরিক্ত জল তাঁর রাজ্যে নেই৷
যদিও এ দিনের বৈঠকে বেশ কয়েকজন মুখ্যমন্ত্রী অনুপস্থিত ছিলেন৷ তাঁর মধ্যে অন্যতম পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ এ ছাড়াও কংগ্রেস শাসিত কর্ণাটকের মুখ্যনমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া, কেরলের পিনারাই বিজয়ন এ দিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না৷ বিজয়ন অবশ্য তাঁর রাজ্যের প্রতিনিধি হিসেবে মন্ত্রিসভার এক সদস্যকে পাঠিয়েছিলেন৷ এ ছাড়াও এনডিএ-র অন্যতম প্রধান জোটসঙ্গী বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার, পুদুচেরির মুখ্যমন্ত্রী এন রঙ্গস্বামীরাও এ দিনের বৈঠকে গরহাজির ছিলেন বলে খবর৷