বিহারে সংশোধিত খসড়া ভোটার তালিকা থেকে যাঁদের নাম বাদ গিয়েছে, তাঁরা নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদনের সময় বৈধ নথি হিসেবে আধার কার্ড ব্যবহার করতে পারেন৷ বিহারের SIR মামলায় শুক্রবার এমনই নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট৷ একই সঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট অবশ্য জানিয়েছে, আধার কার্ড বাদে নির্বাচন কমিশন যে এগারোটি নথি ভোটার তালিকা যাচাইয়ের সময় জমা দিতে বলেছিল, তার মধ্যে যে কোনও একটি নথি জমা দিলেই হবে৷
advertisement
২৫০ কোটির প্রাসাদ! গুঁড়িয়ে দিল বুলডোজার… ধংসস্তূপে মিলল ‘গভীর জলের মাছ’! কে জানেন?
নিউ গড়িয়ার অভিজাত আবাসনে খুন! খাটের তলায় উঁকি দিতেই ভয়ঙ্কর দৃশ্য! গৃহকর্ত্রীর এ কী অবস্থা
পাশাপাশি, বিহারে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন বা এসআইআর-এর সময়সীমা বৃদ্ধির দাবিও খারিজ করে দিয়েছে শীর্ষ আদালত৷ সুপ্রিম কোর্ট কমিশনকে পরামর্শ দিয়েছে, শুধুমাত্র ভোটারদের মধ্যে থেকে বিপুল সাড়া পেলে তবেই আবেদন করার সময়সীমা বৃদ্ধি করার কথা তারা চিন্তাভাবনা করতে পারে৷ সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সূর্যকান্ত এবং বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চ এ দিন এই নির্দেশ দিয়েছে৷
আবেদনের ক্ষেত্রে পরিচয়পত্র হিসেবে আধার কার্ড কিংবা ভোটার কার্ড (EPIC) দেখালেই হবে। ফলে আর অতিরিক্ত কাগজপত্রের জটিলতা পোহাতে হবে না সাধারণ মানুষকে।
শুধু তাই নয়, আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনকে প্রায় ৬৫ লক্ষ বাদ পড়া ভোটারের সম্পূর্ণ তালিকা প্রকাশ করতে হবে। কেন নাম মুছে ফেলা হয়েছে, তার কারণও সেখানে উল্লেখ করতে হবে। এই তালিকা জেলা অনুযায়ী অনলাইনে প্রকাশ করতে হবে, পাশাপাশি প্রতিটি জেলার নির্বাচনী দপ্তর এবং পঞ্চায়েত কার্যালয়ে তা টাঙিয়ে রাখতে হবে।
রাজনৈতিক দলগুলির ভূমিকাকেও গুরুত্ব দিয়েছে শীর্ষ আদালত। দলগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তাঁদের বুথ লেভেল এজেন্টদের (BLA) মাধ্যমে নাম বাদ যাওয়া ভোটারদের অনলাইনে আপত্তি জানাতে সাহায্য করতে হবে।
অগস্ট ১৪ তারিখে শীর্ষ আদালত এই নির্দেশিকা জারি করেছিল, শুক্রবার সেই নির্দেশ আরও কড়া করে স্পষ্ট জানিয়ে দিল—ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করার নামে কোনও ভাবেই সাধারণ মানুষকে বাদ দেওয়া যাবে না।