পাটুলির বাড়িতে একাই থাকতেন আশি বছরের নিরঞ্জন চৌধুরী। দেখভালের জন্য ছিলেন আয়া ও পরিচারিকা। গল্ফগ্রিনের একটি বেসরকারি সংস্থাও নিয়মিত তাঁর খোঁজখবর নিত। বুধবার সকালে বাড়ির পাশের জমি থেকে উদ্ধার হয় তাঁর রক্তাক্ত দেহ।
খুন, আত্মহত্যা না দুর্ঘটনা? বৃদ্ধের মৃত্যুতে উঠছে প্রশ্ন। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, বাড়ির ছাদ থেকে সরাসরি পাশের জমিতে পড়েন নিরঞ্জন। তাঁর মাথায় আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। একটি পা-ও ভাঙা ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।
advertisement
গত বছর ডিসেম্বরে মারা যান নিরঞ্জনের স্ত্রী। তাঁর দেখাশোনার দায়িত্বে থাকা সংস্থার এক কর্মীর দাবি, একাকীত্ব আর অবসাদে ভুগতেন বৃদ্ধ। স্থানীয় সূত্রে খবর, নিরঞ্জনের মেয়ে-জামাই থাকেন দিল্লিতে। ছেলে চাকরি করেন অসমে। মেয়েকে সমস্ত সম্পত্তি লিখে দেওয়ায় ছেলের সঙ্গে সম্পর্ক ভাল ছিল না বৃদ্ধের। তাঁর মৃত্যুর সঙ্গে এসবের কোনও যোগ রয়েছে কিনা, খতিয়ে দেখছে পাটুলি থানার পুলিশ।