মেরঠের চৌধুরী চরণ সিং জেলে বন্দি রয়েছে মুসকান৷ সেই জেলেই মুসকানের সঙ্গে একই সেলে রয়েছে সঙ্গীতা নামে আর এক মহিলা বন্দি৷ ঘটনাচক্রে এই সঙ্গীতার বিরুদ্ধেও নিজের স্বামীকে খুন করার অভিযোগ রয়েছে৷ শুধু তাই নয়, মুসকানের মতো এই সঙ্গীতাও অন্তঃসত্ত্বা৷
জেল সূত্রে খবর, মেরঠের জেলে যাওয়ার পরই সঙ্গীতার সঙ্গে আলাপ হয় মুসকানের৷ একই সেলে থাকায় তারা পরস্পরকে নিজেদের জীবনের গল্পও ভাগ করে নেয়৷ নিজেদের স্বামীকে কেন তারা খুন করল, পরস্পরকে তা জানায় দু জনে৷
advertisement
আরও পড়ুন: স্বামীকে কুপিয়ে খুন, তার পরই প্রেমিককে ভিডিও কল নাবালিকা স্ত্রীর! মধ্যপ্রদেশে হাড় হিম করা কাণ্ড
মুসকানের মতো সঙ্গীতাও মেরঠের বাসিন্দা৷ মেরঠের থানা জানি এলাকার বাসিন্দা সে৷ নিজের স্বামী অজয় ওরফে বাবলুকে খুন করে সে৷ নিজের প্রেমিক সাহিলের সঙ্গে মিলে নৃশংস ভাবে স্বামীকে খুন করেছিল মুসকান৷ আবার সঙ্গীতাও নিজের প্রেমিকের সঙ্গে মিলেই স্বামীকে খুন করে বলে অভিযোগ৷ বিয়ের বাঁধন থেকে মুক্ত হয়ে নতুন জীবন শুরু করার তাগিদ থেকেই স্বামীকে খুনের চক্রান্ত করে তারা৷ নিজেদের জীবন এবং অপরাধের এত মিল থাকায় জেলে এখন রীতিমতো বন্ধু হয়ে উঠেছে মুসকান এবং সঙ্গীতা৷
পুলিশ সূত্রে খবর, এ বছরের শুরুর দিকে নিজের স্বামী অজয়কে খুন করে সঙ্গীতা৷ দেহরাদুনের বাসিন্দা অজয় এত আত্মীয়ের বিয়ে উপলক্ষে মেরঠে আসে৷ তখনই নিজের প্রেমিক অবনীশকে সঙ্গে নিয়ে অজয়কে খুন করার ছক কষে সঙ্গীতা৷ সঙ্গীতা এবং অবনীশ মিলে অজয়ের সঙ্গে বসে মদ্যপান করে৷ এর পর একটি ভারী বস্তু দিয়ে অজয়ের মাথায় আঘাত করে অবনীশ৷ তার পরে অজয়কে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়৷ অজয়ের দেহ উদ্ধার হওয়ার পরই তদন্তে নামে পুলিশ৷ ফেব্রুয়ারি মাসে গ্রেফতার করা হয় সঙ্গীতা এবং তার প্রেমিককে৷ দু জনে অপরাধের কথা স্বীকার করে নেয়৷
জেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যেহেতু মুসকান এবং সঙ্গীতা দু জনেই অন্তঃসত্ত্বা, তাই জেলে তাঁদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে৷ শারীরিক অবস্থার জন্যই তাদের এখন জেলে কোনও কাজ করতে হচ্ছে না৷ মুসকানের প্রেমিক সাহিলের মতোই সঙ্গীতার প্রেমিক অবনীশও মেরঠের ওই একই জেলে অন্য বারাকে রয়েছে৷ মুসকানের মতোই সঙ্গীতার গর্ভস্থ সন্তানের পিতৃপরিচয় নিয়েও জেলের মধ্যেই কৌতূহলের সৃষ্টি হয়েছে৷