TRENDING:

চৈনিক ফিসফিস! চিন সরকারের উপরে ক্ষুব্ধ চিনা নাগরিকরাই! বলছে সোশ্যাল মিডিয়া

Last Updated:

চিনা সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ৷ গালওয়ান ভ্যালিতে ভারতের বিরুদ্ধে চিনের পদক্ষেপে চিন সরকারের উপর ক্ষুব্ধ একটি বড় অংশের চিনা বংশোদ্ভূতরাও৷

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
সোশ্যাল মিডিয়া সে দেশে রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণে৷ বাকস্বাধীনতায় তালা দেওয়া বহু দিন আগে থেকেই৷ পাছে সরকারের রোষানলে পড়তে হয়, তাই সরকার নিয়ন্ত্রিত সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে সবাই ভারত-বিরোধী পোস্টে ব্যস্ত৷ কিন্তু চিনের বাতাসে কান পাতলে অন্য ফিসফিস শোনা যাচ্ছে৷ সেটি হল চিনা সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ৷ গালওয়ান ভ্যালিতে ভারতের বিরুদ্ধে চিনের পদক্ষেপে চিন সরকারের উপর ক্ষুব্ধ একটি বড় অংশের চিনা বংশোদ্ভূতরাও৷
advertisement

চিন সরকার বিরোধী ৭৫ হাজারের বেশি পোস্ট বাছাই করেছে সাইবার সিকিউরিটি ও সেন্টিমেন্ট অ্যানালিসিস সংস্থা Seclabs & Systems৷ সংস্থার সিইও সরাঙ্গধর News18-কে জানিয়েছেন, চিনা সরকারের বিরোধী মনোভাব দেখা গিয়েছে সেই চিনা নাগরিকদের মধ্যেও, যাঁরা চিন সরকার সমর্থিত বিভিন্ন থিঙ্ক ট্যাঙ্কের সঙ্গে যুক্ত৷ এটা অত্যন্ত তাত্‍পর্যপূর্ণ৷ যেখানে চিন সরকার দেশের নাগরিকদের সোশ্যাল মিডিয়ায় অ্যাক্টিভিটি নিয়ন্ত্রণ করে ও নজরে রাখে৷

advertisement

সরাঙ্গধরের কথায়, 'সোশ্যাল মিডিয়ায় কেন্দ্রিকতার (ডিগ্রি সেন্ট্রালিটি) নিরিখে অঙ্কের বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, ০.৫৭৬-এর একটু বেশি নিজেদের কমিউনিটি বা গোষ্ঠীর মধ্যে৷' ডিগ্রি সেন্ট্রালিটি হল, সোশ্যাল সার্কেলে কত জন মানুষের সঙ্গে একজন ব্যক্তি যোগাযোগ রাখছেন৷ ‘Eigenvalue centrality’ হল, এই যোগাযোগের মান কী রকম৷ উদাহরণ স্বরূপ, কোনও ব্যক্তি যদি ৫০০ জনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন এবং আরেকজন ব্যক্তি যদি ৪০০ জনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন, এই ৪০০ কানেকশন যদি ভালো নেটওয়ার্ক হয়, সে ক্ষেত্রে ৫০০ জনের সঙ্গে যুক্ত থাকা ব্যক্তির চেয়ে এই ব্যক্তির Eigenvalue ভ্যালু বেশি৷ Seclabs & Systems রিপোর্টে এই Eigenvalue বেশি৷ এবং আলোচনা ও পোস্টের ধরন চিন সরকারের বিরুদ্ধে৷

advertisement

কী রকম বিরোধিতা? সরাঙ্গধর জানাচ্ছেন, 'বিশিষ্ট ব্যক্তিদের প্রথম গোষ্ঠীটি হল চিনা ডায়াসপোরা সাংবাদিকরা৷ যাঁরা চিন সরকারের সীমান্ত ইস্যু নিয়ে পদক্ষেপে খুশি নন৷ তাঁরা এই গোটা বর্ণনায় তৃতীয় একটি পার্টির (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) প্রয়োজনীয়তা রয়েছে তাঁরা বলে মনে করছেন৷' একই সঙ্গে হংকং ও তাইওয়ানের গণতন্ত্রের পক্ষের কর্মী ও সমর্থকরাও চিন সরকারের বিরোধিতায় সরব হয়েছেন৷

advertisement

এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্বদের মধ্যে রয়েছেন ডেং ইউয়েন ও হু পিং৷ ডেং ইউয়েনের টুইটারে ফলোয়ারের সংখ্যা ৩৪ হাজারের বেশি৷ তিনি একজন চিনা সংবাদিক৷ তিনি চাইনিজ কুওমিনতাং-এর রেভোলিউনারি কমিটিরও সদস্য৷ হু পিং-এর টুইটারে ২ লক্ষ ২১ হাজারের বেশি ফলোয়ার৷ ভারতের সঙ্গে চিনের সীমান্ত নিয়ে তৈরি হওয়া বিবাদকে লিখেছেন, চিন নেতৃত্বের দুর্বল দিকটাই ফুটে উঠল৷ হু পিং-ও তা-ই মনে করছেন৷ ইউয়েনের বিশ্বাস, ভারত ও চিনের যুদ্ধ যদি অতীতে অসম্ভব মনে হত, এখন সেই সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না৷

advertisement

এঁরা ছাড়াও চিন থেকেও বেশ কিছু টুইটে দেশের অভ্যন্তরীণ বিবাদের চিত্র নিয়ে আলোচনা চলছে৷ ওয়াং খিয়ানখিয়ান নামে এক চিনা নাগরিকের টুইট, 'চিনের অভ্যন্তরীণ বিবাদ নিয়ে গুজব চলছেই৷ এমনকী এও শোনা যাচ্ছে, চিনের কমিউনিস্ট পার্টি অভ্যন্তরীণ বৈঠকেও গোলমাল চলছে৷ নতুন ও পুরনো পন্থিদের মধ্যে৷'

এরকম বহু পোস্টে দেখা গিয়েছে, চিনের নাগরিকরাই চিন সরকারের উপর বেজায় ক্ষুব্ধ৷ ভারতের সঙ্গে এই বিবাদ তাঁরা মোটেই পছন্দ করছেন না৷

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
পুজো শেষ হতেই ঝাঁকে ঝাঁকে পদ্মার ইলিশ! জলের দরে টাটকা মাছ না খেলেই নয়
আরও দেখুন

Shouvik Das | Subhajit Sengupta

বাংলা খবর/ খবর/দেশ/
চৈনিক ফিসফিস! চিন সরকারের উপরে ক্ষুব্ধ চিনা নাগরিকরাই! বলছে সোশ্যাল মিডিয়া
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল