তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে খবর, বামুটিয়া ব্লকের কংগ্রেস নেতা গোপাল মালাকার-সহ ৪৫ পরিবারের ২০২ জন শুক্রবার দলের সঙ্গে যোগদান করলেন। যোগদানসভায় উপস্থিত ছিলেন স্টেট ইন-চার্জ রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, কোর কমিটির সদস্য মামন খান এবং জেলা কনভেনার পীযূষ কান্তি দেবরায়।
রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ প্রতি ঘরে ‘সুশাসন’ নয়, প্রতি ঘরে ‘কুশাসন’ চালিয়েছে বিজেপি সরকার। এটা প্রমাণিত, গত সাড়ে চার বছর ধরে উন্নয়নের লেশমাত্র দেখেনি ত্রিপুরাবাসী। অন্যদিকে, সোনামুড়ায় শিক্ষককে মারধর করা নিয়ে সরব ত্রিপুরা প্রদেশ তৃণমূল ছাত্র পরিষদ।বৃহস্পতিবার কাজী নজরুল মহাবিদ্যালয় প্রিন্সিপালের ওপর ঘটে যাওয়া নিন্দনীয় ঘটনাকে কেন্দ্র করে, শুক্রবার ত্রিপুরা প্রদেশ তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিনিধি দল সোনামুড়া এসডিপিও-এর নিকট এক চিঠি পেশ করে। যারা এই নিন্দনীয় ঘটনাটি ঘটিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হোক নিয়ে এই দাবি নিয়ে চিঠি জমা দেওয়া হয়েছে। এদিন উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরা প্রদেশ তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ইনচার্জ নীল কমল সাহা, ছাত্র নেতা শিবম সাহা, জয় দাস, সোলাঙ্কি সেনগুপ্ত, যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি মাসুক খান, সোনামুড়া সাংগঠনিক জেলা কনভেনর হাবিল মিয়া-সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দরা।
advertisement
আরও পড়ুন- চা শ্রমিকদের বোনাস জট, ১১০ বছরের ঐতিহ্যের গ্লেনারিজে বন্ধ দার্জিলিং টি !
এই প্রসঙ্গে ছাত্র পরিষদের ইনচার্জ নীল কমল সাহা বলেছেন, "গতকাল যে ঘটনা ঘটেছে, সেটা হয়তো সোনামুড়ার ইতিহাসে প্রথমবার ঘটেছে যেখানে একজন গুরুকে তাঁর শিষ্যরা এইভাবে মেরেছে। এবিভিপির ছাত্ররা যখন চাঁদা আদায়ের জন্য বলে, তখন প্রিন্সিপাল বাধা দেয়, তাই তাঁকে মারা হয়।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আমরা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা এবং ধিক্কার জানাচ্ছি, কারণ এরকম পরিবেশ সোনামুড়াতে কখনও হয়নি কিন্তু এই পরিবেশ সব জায়গায় শুরু হচ্ছে, মানুষের গায়ে হাত তোলা হচ্ছে, তাদের বাড়ি ভেঙে দেওয়া হচ্ছে, শিক্ষকদের ওপর আক্রমণ চালানো হচ্ছে। গণতন্ত্র কোথায়? আমরা জানিয়েছি যাতে অতিসত্বর এই ঘটনার সঠিক তদন্ত হয় এবং দোষীদের কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক।’’