১৫ জুলাই মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং শুখু জানান, চলতি মরশুমে অতিভারী বৃষ্টির কারণে রাজ্যে ৮ হাজার কোটির ক্ষতি হয়েছে। ধ্বস, হরপা বাণে ভেসে গিয়েছে একের পর এক রাস্তা, ভেঙে গিয়েছে একাধিক সড়ক। বিপর্যস্ত হিমাচল। ১৪ জুলাই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ State Disaster Response (SDRF) ফান্ড থেকে ১৮০ কোটি টাকা আগাম ত্রাণ মঞ্জুর করেছেন। ২৬ জুন হিমাচলে বর্ষা আসে। State Emergency Response Centre-এর তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত বৃষ্টির তাণ্ডবলীলায় ১০০-রও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। প্রায় ৬৬৭টি বাড়ি জলের তোড়ে সম্পূর্ণ গুড়িয়ে গিয়েছে, ১২৬৪ টি বাড়ি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত।
advertisement
বৃষ্টিতে এখনও বিপর্যস্ত উত্তরাখণ্ড। ধ্বসে বন্ধ বহু রাস্তা। দেবপ্রয়াগে বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে গঙ্গা। অলকানন্দা নদীর উপর তৈরি বাঁধ থেকে জল ছাড়া হয়েছে। সে কারণে হরিদ্বারেও জলস্তর অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে। মৌসম ভবন জানিয়েছে, গঙ্গার জল বিপদসীমা ছাড়িয়েছে। উপকূলবর্তী শহরগুলিতে জল ঢুকছে। আগামী কয়েকদিন অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে। উত্তরাখণ্ডের ১৩টি জেলায় কমলা সতর্কতা জারি হয়েছে। আগামী পাঁচদিন উত্তরাখণ্ড, হিমাচল প্রদেশ ও উত্তর প্রদেশে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে মৌসম ভবন। এদিকে অতিবৃষ্টি ও ধসের কারণে বন্ধ রাখা হয়েছে বদ্রীনাথ জাতীয় সড়ক। উত্তরাখণ্ডের চামোলি জেলার ছিঁকাও এলাকায় সাত নম্বর জাতীয় সড়ক বন্ধ রাখা হয়েছে।
অন্যদিকে, দিল্লির পরিস্থিতির কিছুটা হলেও উন্নতি হয়েছে। যমুনার জল আগের তুলনায় আবার সামান্য বৃদ্ধি পেলেও এখন বিপদসীমার নীচ দিয়ে বয়ে চলেছে।