একই সঙ্গে যানজটের জন্যও ট্রামকে দায়ী করেন অনেকে। কিন্তু গতির পাশাপাশি দুষণও বর্তমান পরিস্থিতিতে একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে উঠে আসছে সেখানেই ট্রামের প্রাসঙ্গিকতা খুঁজে পাচ্ছেন ট্রাম প্রেমীরা। কলকাতায় ট্রামকে রাখার জন্য রাস্তায় নেমে আন্দোলন করে চলেছে বেশ কিছু সংগঠন। কয়েকমাস আগে কলকাতার সমস্ত ট্রাম ডিপোর সামনে বিক্ষোভ দেখায় সিপিএম। দলের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয় দুষণ হীন, সস্তা এবং আরামদায়ক এই যানটি গরিব মানুষের যাতায়াতের লাইফলাইন। কিন্তু রাজ্য সরকার উদ্দশ্যপ্রণদিত ভাবে ট্রামকে তুলে দেওয়ার চক্রান্ত করছে।
advertisement
আরও পড়ুন: শনিবারে বাংলা থেকে যাত্রা শুরু অমৃত ভারত এক্সপ্রেসের! ভাড়া কত? সুবিধাই বা কী কী? শুনলে অবাক হবেন
ট্রাম লাইনে পিচ ঢেলে দেওয়া হচ্ছে। ট্রামকে ফের ট্র্যাকে ফিরিয়ে আনার দাবিও তোলেন নেতৃত্ব। সম্প্রতি কলকাতা প্রেস ক্লাবে তারই প্রতিধ্বনি শোনা গেল সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের গলায়। তিনি জানান, ‘কলকাতায় আগে চল্লিশটি রুটে ট্রাম চলতো এখন চলে মাত্র চারটি রুটে। সরকার সেখান থেকে একটি রুটে নিয়ে আসতে চাইছে। হয়তো সেটাও ভবিষ্যতে আর থাকবে না। সারা পৃথিবীতে দুষণ একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আর ভারত তথা কলকাতায় দুষণের সমস্যা ভয়াবহ। সারা পৃথিবীতে বহু জায়গায় ট্রাম ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। আর কলকাতায় কমানো হচ্ছে। আগে যখন বিদ্যুতের জোগান কম ছিল তখনও ট্রাম ছিল৷ এখন তো সেই অবস্থা নেই। করোনার সময়ে ঝড় এসেছিল সেখানে ট্রামের তার ছিঁড়ে গিয়েছিল কিন্তু সেটাও আর লাগানো হয়নি। ট্রাম লাইনে পিচ ঢেলে দেওয়া হয়েছে। তার চুরি হয়ে যাচ্ছে। এমন কি ট্রামগুলোকেও ভেঙে ফেলা হচ্ছে। আসলে লক্ষ্য ওই ট্রাম ডিপোর জমিগুলো।’
মহম্মদ সেলিম আরও বলেন, ‘কলকাতা এমন একটা শহর যেখানে সব ধরনের যান চলাচল করে। ঘোড়ার গাড়ি চলে খুঁজলে পালকিও পাওয়া যাবে। আর সেটার জন্যই কলকাতা অনন্য। কলকাতা মানে হাওড়া ব্রিজ, ইডেন গার্ডেন, শহিদ মিনার, ফুটবল। সেরকমই ট্রাম। এগুলো না থাকলে কলকাতাও থাকবে না। এই ট্রামের সঙ্গে কলকাতার অনেক ইতিহাস লুকিয়ে রয়েছে। আর যানজটের যে অভিযোগ করা হয় সেটাও ঠিক নয়। বেন্টিংক স্ট্রিট, রবীন্দ্রসরণীর মতো রুটে তো অনেক আগেই ট্রাম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সেখানে কি এখন যানজট বন্ধ হয়েছে? তাই সবার উচিত ট্রামে পক্ষে আরও জোরাল সওয়াল করা, একজোট হওয়া৷’