অভিযোগ, ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে ওয়ানাদে ভোট প্রচারে গিয়ে ‘মোদি’ পদবি নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন রাহুল। সেই অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করেন গুজরাতের এক নেতা৷ গত ২৩ মার্চ গুজরাতের সুরাত ম্যাজিস্ট্রেট আদালত সেই মামলায় রাহুলকে ২ বছর জেলের সাজা দেয়। তার পরেই গত ২৪ মার্চ ভারতীয় সংবিধানের ১০২(১)-ই অনুচ্ছেদ এবং জনপ্রতিনিধিত্ব আইন (১৯৫১)-র ৮(৩) নম্বর অনুচ্ছেদের নিয়ম মেনে রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ করেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা।
advertisement
আইন অনুযায়ী, কোনও ব্যক্তি দু'বছর বা তার বেশি সময়ের জন্য সাজাপ্রাপ্ত হলে ওই ব্যক্তির সাংসদ অথবা বিধায়ক পদ তৎক্ষণাৎ খারিজ হয়ে যায়। এমনকি, তেমনটা হলে আগামী ছ'বছর নির্বাচনেও অংশ নিতে পারেন না তিনি।
ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের সেই রায়ের বিরুদ্ধে গত ৩ এপ্রিল সুরাতেরই দায়রা আদালতে (সেশনস কোর্ট) আবেদন জানিয়েছিলেন রাহুলের আইনজীবী। বিচারক আরপি মোগেরা তা গ্রহণ করে জামিনের নির্দেশ বহাল রাখার নির্দেশও দেন। দায়রা আদালতের কাছে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের রায়ের উপরে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করার আর্জি জানিয়েছিলেন রাহুল। বৃহস্পতিবার রাহুলের সেই আর্জি খারিজ করলেন সুরাতের অতিরিক্ত দায়রা আদালতের বিচারক মোগেরা।