সাঁইথিয়া থানার পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে বুঝতে পারে যে ওই মহিলা মানসিক ভারসাম্যহীন। তাকে সিউড়ীর পুরন্দরপুরের আনন্দধারা স্বধার গৃহ হোমে রাখার ব্যবস্থা করা হয়। হোম কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে দ্রুত ওই মহিলার চিকিতসা শুরু হয়, নিয়মিত চিকিৎসায় সুস্থতার সাড়া দিতে থাকে সাহিদা । ধীরে ধীরে প্রায় সুস্থ হয়ে উঠেছে সাহিদা। স্থানীয় ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, উদ্ধারের সময় সাহিদা নিজের নাম ও গ্রামের নাম বলতে পারছিল না, সঠিকভাবে তাঁর ঠিকানাও বলতে পারছিল না। পরে অবশ্য সুস্থ হওয়ার সাথে সাথে সে একটু মূর্শিদাবাদের ঠিকানা বলছিল। সাহিদা প্রথমে যে ঠিকানা বলেছিল সেই ঠিকানায় পুলিশ খোঁজ চালালেও সন্ধান করে উঠতে পারছিল না। এরপর প্রায় এক মাস আগে ওই হোমে দুয়ারে সরকার কর্মসূচীতে যায় স্থানীয় ব্লক প্রশাসনের কর্তারা। সেখানেই সাহিদা বাড়ি ফেরার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। সেই সময় তিনি সঠিক ঠিকানা বলতে সক্ষম হন। এরপরেই ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাঁর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করা হয়।
advertisement
অবশেষে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সাহিদার মা ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা এসে তাঁকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যান। সিউড়ী ২ নম্বর ব্লকের সহকারী সমষ্ঠি উন্নয়ন আধিকারিক সুদীপ কুমার বসু বলেন," আমরা ওঁর বাড়ির লোকের সঙ্গে যোগাযোগ করার পর নিশ্চিত হয় যে ওঁরাই তাঁর পরিবারের লোকজন। তারপর তাঁর হাত তুলে দেওয়া হয়। ওঁর বাড়ির লোককে নিয়মিত যে সমস্ত ওষুধ আছে সেগুলি দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে।" বাড়ি ফিরতে পেরে খুশি সাহিদা। তাঁর কথা কথায়," আমি খুব খুশি হয়েছি।" অন্য দিকে আনন্দধারা স্বধার গৃহ হোমের সুপার আয়েশা সুলতানা জানিয়েছেন বছরের প্রথম দিনে হোম থেকে কেউ নিজের পরিবারে ফিরে গেলো, যা অত্যন্ত আনন্দের তাদের কাছে।
Supratim Das