মিরাটের এই অভিযুক্তের বয়স ২৫ বছর। মোট ২০টি কুকুর পুষেছিলেন তিনি। এই পোষ্যগুলির খাওয়ার তালিকাও লম্বা। এর জেরে প্রতিদিন ঝামেলা পোহাতে হত অভিযুক্তের বোনকে। কারণ রোজই এই ২০টি কুকুরের জন্য তার বোনকে রুটি বানানোর কথা বলত অভিযুক্ত। প্রথমের দিকে তা মেনে নিয়েছিল বোন। কিন্তু পরের দিকে বিষয়টি অসহ্য হয়ে ওঠে। কারণ এতগুলি কুকুরের জন্য এত পরিমাণ রুটি বানানো খুব একটা সোজা কাজ ছিল না। আর বেশিদিন সেই বিরক্তি পুষে রাখতে পারেননি যুবতি।
advertisement
প্রতিদিনের মতোই দিন কয়েক আগে তার বোনকে পোষ্যদের জন্য রুটি বানানোর কথা বলে অভিযুক্ত। কিন্তু সেদিন রুটি বানাতে অস্বীকার করে অভিযুক্তের বোন। আর সেটাই কাল হয়। বোনকে রুটি বানানোর জন্য জোর করতে শুরু করে তাঁর দাদা। প্রথমে বচসা বাঁধে। পরে বচসা চরমে ওঠে। রাগের মাথায় বন্দুক বের করে বোনকে গুলি করে দেয় আশিষ। মৃত্যু হয় বোনের।
একই কথা জানিয়েছেন এলাকার SP কেশব কুমার। তিনি জানিয়েছেন, বোন রুটি বানাতে অস্বীকার করায় এই খুনের ঘটনা। ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্তকে। মৃতদেহটি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। জানা গেছে, বোনের মাথায় ও বুকে গুলি করেছে অভিযুক্ত আশিষ। দফায় দফায় জেরা চলছে। প্রতিবেশীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা শুরু হয়েছে। শীঘ্রই ঘটনার সম্পূর্ণ তদন্ত শেষ হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
