২০১৪ সালের টেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের ২০২০ সালে পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগ করেছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। সেই পরীক্ষায় ওএমআর জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছিল। বিস্তর জলঘোলার পর কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে মামলাটি ওঠে।
আরও পড়ুন: হাজার হাজার কোটির হিসেব! কেন্দ্রের কাছে কোন খাতে কত পাওনার দাবিতে আজ ধরনায় মমতা?
advertisement
গত ২ মার্চ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় ওই মামলায় সিবিআই এবং এদিকে যৌথভাবে তদন্তের নির্দেশ দেন। প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতির সেই মামলার রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে এসেছিলেন কয়েকজন। তার প্রেক্ষিতেই আজ কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। মানিক ভট্টাচার্য বনাম টিনা মণ্ডল এবং পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ বনাম টিনা মণ্ডলের মামলার শুনানিতে এমনই অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি দীনেশ মহেশ্বরীর বেঞ্চ বুধবার এই স্থগিতাদেশ দেন।
আরও পড়ুন: আদালতে বিরাট ধাক্কা রাজ্যের, নিশীথের গাড়িতে হামলার ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ
২ মার্চ, ২০২২- প্রাথমিকের নিয়োগ দুর্নীতিতে ইডি ও সিবিআইকে যৌথ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে একটি মামলা হয় শীর্ষ আদালতে। সেই রায়ের উপর অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দিল শীর্ষ আদালত । কীভাবে পর্ষদের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ কাজের দায়িত্ব এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানিকে দেওয়া হয়েছিল, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় তা তদন্ত করে দেখার নির্দেশ ইডি এবং সিবিআই দিয়েছিলেন। সেই নির্দেশের বিরোধিতা করে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল পর্ষদ। তার ভিত্তিতেই এই অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে।
২০১৪ সালের টেট পরীক্ষার ভিত্তিতে ২০২০ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে তদন্ত করবে এই দুই কেন্দ্রীয় সংস্থা, নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি আরও বলেছিলেন, নতুন করে এফআইআর দায়ের করে তদন্ত করতে হবে।এখানেই শেষ নয়, প্রয়োজনে অভিযুক্তদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে ইডি ,সিবিআই আদালতের নির্দেশ এমনটাই ছিল। সেই নির্দেশের উপরেই স্থগিতাদেশ দিল শীর্ষ আদালত।